
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু আচরণ স্বাভাবিক মনে হলেও, এগুলো আসলে আবেগের দিক থেকে দুর্বলতার পরিচায়ক হতে পারে। আত্মসম্মানের অভাব, সীমানা নির্ধারণে ব্যর্থতা, অথবা অতীতের অমীমাংসিত আবেগগত সমস্যাগুলোর কারণে এমন অভ্যাস গড়ে ওঠে।
মানসিক দৃঢ়তা গড়ে তুলতে প্রথম পদক্ষেপ হলো এই লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর ওপর কাজ করা।
১. অতিরিক্ত ক্ষমা চাওয়া
যদি কেউ সবসময় ক্ষমা চেয়ে নেয়, এমনকি যেখানে প্রয়োজন নেই, তবে এটি আত্মবিশ্বাসের অভাবের ইঙ্গিত দেয়। এটি আপনাকে দুর্বল করে তোলে এবং অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা পাঠায়।
২. চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা
চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা আত্মবিশ্বাসের অভাব বা নিজের অবস্থানে অস্বস্তি প্রকাশ করে। এটি সামাজিক ও পেশাদার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. অতিরিক্ত ব্যাখ্যা দেওয়া
নিজেকে সবসময় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা আত্মবিশ্বাসের অভাব ও স্বীকৃতি পাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়। সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট কথা বলা আত্মবিশ্বাস গঠনে সাহায্য করে।
৪. সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেকের মতামত নেওয়া
নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে তা আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রকাশ করে। নিজের চাহিদা বোঝা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৫. অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়ে যাওয়া
সবসময় অন্যদের মতের সঙ্গে একমত হওয়া একজন মানুষের নিজস্বতা ও আত্মমর্যাদার অভাব নির্দেশ করে। নিজের পছন্দ-অপছন্দ স্পষ্টভাবে জানানো দরকার।
৬. বিদ্বেষ পুষে রাখা
বিদ্বেষ ধরে রাখলে আবেগগতভাবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়া যায়। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৭. একা সময় কাটানো এড়িয়ে চলা
নিজের সঙ্গে সময় কাটানো এড়িয়ে চলা মানে হলো নিজেকে নিয়ে স্বস্তি অনুভব না করা। আত্মউন্নয়ন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য একা সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ।
৮. অতিরিক্ত পারফেকশনিজম
সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিজের প্রতি দয়া দেখানো এবং ভুল থেকে শেখা জরুরি।
৯. অতিরিক্ত স্বাধীনতা দেখানো
অন্যদের সাহায্য নিতে না চাওয়া এবং সবকিছু একা করার প্রবণতা আত্মবিশ্বাসের সংকট থেকে আসতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।
১০. বিষাক্ত সম্পর্ক আঁকড়ে ধরা
অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক ধরে রাখা আত্মসম্মানের অভাব নির্দেশ করে। ভালো-মন্দ বুঝে সম্পর্ক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
১১. বিবাদের সময় চুপ করে থাকা
কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আবেগগতভাবে নিজেকে প্রকাশ না করলে তা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এ ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে আত্মচিন্তা, আত্মসম্মান বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পেশাদার সাহায্য নেওয়া দরকার।
সূত্রঃ https://www.yourtango.com/self/behaviors-look-normal-actually-reveal-emotional-weakness
রিফাত