
জীবন কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত হতে পারে, প্রায়শই চাপ এবং অনিশ্চয়তার মুহূর্ত নিয়ে আসতে পারে। অভ্যন্তরীণ শান্তির অনুভূতি বিকাশ আপনার মানসিক সুস্থতা এবং সামগ্রিক সুখকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে।
তাহলে জেনে নিন কঠিন সময়ে নিজেকে শান্ত রাখার কয়েকটি উপায়…
১। নিয়মিত হাঁটাচলা করা
সারাদিন সংক্ষিপ্ত, ইচ্ছাকৃতভাবে হাঁটাচলার বিরতি নিন। দিনের মধ্যে কয়েকবার সংক্ষিপ্ত আকারে হাঁটা, শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে এবং জমে থাকা উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনা
ডিজিটাল বিক্ষেপ থেকে মনকে বিরতি দিতে স্ক্রিন টাইম সীমিত করতে হবে। ডিভাইস থেকে দূরে সরে গেলে আরও ভালো বিশ্রাম, গভীর ঘুম এবং আরও শান্তিপূর্ণ অবস্থা পাওয়া যায়।
৩। শরীরকে পুষ্ট রাখা
সুষম খাদ্য গ্রহণ মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিকর খাবার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ইতিবাচক মেজাজ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
৪। উত্তেজক পদার্থ কমিয়ে দিন
ক্যাফেইন এবং চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিতে হবে, কারণ এগুলো উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শিথিলতাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। মন শান্ত করার বিকল্পগুলি বেছে নেওয়া মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৫। সুন্দরভাবে সকাল শুরু করা
প্রতিদিন একটি প্রশান্তিদায়ক অনুশীলন দিয়ে সকাল শুরু করতে হবে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, মৃদু স্ট্রেচিং, অথবা চিন্তাভাবনা ডায়েরিতে লিখে রাখা যাই হোক না কেন, একটি সচেতন শুরু দিনটি আরও স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে সাহায্য করতে পারে।
৬। বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দেওয়া
মানসম্মত ঘুম মানসিক স্থিতিস্থাপকতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করলে শান্ত থাকার এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৭। নিজেকে প্রকাশ করা
বিশ্বস্ত বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে কথা বলা অবিশ্বাস্যভাবে থেরাপিউটিক হতে পারে। নিজের চিন্তাভাবনা এবং আবেগ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয় এবং মানসিক বোঝা হালকা করতে সাহায্য করে।
মুমু