
প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত
সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ নৈতিক ও আত্মসচেতন হয়, তবে কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে দুষ্ট মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করে। মনোবিজ্ঞানী রালফ লুইস, এমডি-এর মতে, এমন মানুষের কিছু নির্দিষ্ট আচরণ থাকে, যা সময়মতো চিনতে পারলে সম্পর্কের সঠিক সীমারেখা নির্ধারণ করা সহজ হয়।
এই ধরনের মানুষের ১১টি নিঃশব্দ আচরণ:
ভালো মুহূর্ত নষ্ট করা – তারা অন্যের আনন্দ ম্লান করতে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলে।
দোষ স্বীকার না করা – সবসময় অজুহাত দেখিয়ে নিজের ভুলকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রণে থাকার প্রবণতা – অন্যকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে গ্যাসলাইটিং-এর মতো কৌশল ব্যবহার করে।
প্রায়ই মিথ্যা বলা – অসৎ উদ্দেশ্যে বারবার মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
কখনও ক্ষমা না চাওয়া – তারা কখনও নিজেদের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে না বা ক্ষমা চায় না।
বিদ্বেষী ও বিভেদমূলক বিশ্বাস পোষণ করা – তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং অন্যদের ছোট করে দেখে।
মানসিকভাবে অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করা – নানা কৌশলে অন্যের আবেগের ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে।
অন্যের দুঃখে আনন্দ পাওয়া – কারও কষ্ট দেখে আনন্দ অনুভব করে বা তা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে।
নিজের সঠিকতা নিয়ে অন্ধবিশ্বাস রাখা – তারা মনে করে, যা করছে তা সবার জন্য ভালো, যদিও বাস্তবে তা স্বার্থপরতা।
অন্যদের ছোট বা অপমান করা – আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকতে বারবার অন্যদের সমালোচনা করে।
ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সামনে আলাদা আচরণ করা – সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করে।
এই আচরণগুলো যদি কারও মধ্যে লক্ষ করা যায়, তবে তার থেকে দূরে থাকাই ভালো।
জাফরান