
ছবি:সংগৃহীত
নিজেকে ভালো রাখতে গেলে আশেপাশের মানুষকে ডুবাতেই হবে?
অন্যদের প্রত্যাশা পূরণের পরিবর্তে নিজেকে অগ্রাধিকার দেওয়ার শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা বহু বছর ধরে বন্ধু, মেয়ে এবং সঙ্গী হিসেবে পারফেক্ট হতে চেয়েছিলেন, যার ফলে তারা ক্লান্তি এবং অশান্তিতে ভুগেছেন। তাই প্রশ্ন রয়ে যায় নিজেকে ভালো রাখতে গেলে আশেপাশের মানুষকে ডুবাতেই হবে?
না, নিজেকে ভালো রাখতে গেলে আশেপাশের মানুষদের ডুবাতে হয় না। কিন্তু, মাঝে মাঝে কিছু সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন হয়, যাতে আপনি আপনার নিজস্ব সুস্থতা এবং সুখের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন।
১. মানুষ সবসময় হতাশ হবে: আপনি যতই চেষ্টা করুন, কেউ না কেউ চাইবে যে পরিস্থিতি আরও ভালো হোক।
২. “না” বলা স্বার্থপর নয়: "না" বলা নিজের সীমা সম্মানিত করার এবং আত্ম-প্রতারণা এড়ানোর একটি উপায়।
৩. নিজেকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্পর্ক উন্নত করে*: আপনার প্রয়োজনগুলো প্রথমে রাখা আপনাকে সম্পর্কগুলোতে আরও ভালোভাবে উপস্থিত হতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি কমায়।
৪. সবাই আপনার পরিবর্তন বুঝবে না: কিছু মানুষ পরিবর্তনগুলো প্রতিরোধ করতে পারে, তবে সঠিক মানুষগুলো আপনার বিকাশকে সমর্থন করবে।
৫. বাইরের স্বীকৃতি যথেষ্ট নয়: অনুমোদনের জন্য ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করা ক্লান্তিকর; আত্ম-অনুমোদনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৬. নিজেকে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই: নিজের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বা "না" বলার জন্য আপনাকে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই।
৭. নিজেকে বেছে নেওয়া প্রয়োজনীয়: সীমানা নির্ধারণ এবং নিজেকে প্রথমে রাখাটা স্বার্থপরতা নয়, এটি আপনার সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
মোটকথা, নিজের যত্ন নেওয়া স্বার্থপরতা নয়, বরং এটি আরও ভালোভাবে অন্যদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করে।
আঁখি