ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

কাবার যে ৮ স্থানে সব সময় দোয়া কবুল হয়!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০৩:৫০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কাবার যে ৮ স্থানে সব সময় দোয়া কবুল হয়!

ছবি; সংগৃহীত

দোয়া কবুলের জন্য মুমিন আল্লাহর দরবারে শরণাপন্ন। বিপদ-আপদ, ক্ষমা, কিছু চাওয়া এবং ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মুমিনরা যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তখন তিনি কবুল করেন। তবে হাদিসে কিছু বিশেষ স্থানে দোয়া কবুল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।


কাবা শরিফ মহান আল্লাহর ঘর। হজের সময় ছাড়াও বছর জুড়েই মুসলিম উম্মাহ ওমরাহ পালনে জড়ো হন এ পবিত্র জায়গায়। এখানে বেশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, যেখানের দোয়া সব সময় আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।  


১. মাকামে ইবরাহিম: মাকামে ইবরাহিম হলো হজরত ইবরাহিম (আ.) পদচিহ্নের স্মৃতিস্তম্ভ। কাবা শরিফের পূর্ব পাশে তাওয়াফের স্থানেই তা অবস্থিত। মাকামে ইবরাহিমে ২ রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত। এ স্থানে বান্দার করা দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না।


২. সাফা ও মারওয়া: হজরত ইসমাইল (আ.) এর মা বিবি হাজেরার স্মৃতি বিজড়িত আল্লাহ তাআলার নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়া। এ স্থানে সাত বার আসা-যাওয়া হজ ও ওমরার অন্যতম রোকন। এ পাহাড় দুটিতে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা সব সময় বান্দার দোয়া কবুল করে নেন।


৩. মিজাবে রহমতের নিচে: এটি কাবা শরিফের উত্তর দিকে হাতিকে কাবার ওপরে অবস্থিত। এ স্থান দিয়েই পবিত্র কাবা শরিফে ছাদের পানি নিচে পড়ে। এ স্থানের নিচে নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার সে দোয়া সব সময় কবুল করে নেন।


৪. কাবার ভেতরে:  কাবা ঘরের ভেতরে প্রবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য পবিত্র কাবা ঘরের দরজা খোলা হয়। কাবা ঘরের ভেতরের দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা সব সময় তা কবুল করে নেন।


৫. হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর):  হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে এসেছে। এটি কালো পাথর নামেও পরিচিত যা হজরত ইবরাহিম (আ.)- এর কাছে পেশ করা হয়েছিল; যাতে তিনি কাবার কোণে স্থাপন করতে পারেন। যদি কেউ কালো পাথরে চুম্বন করার সুযোগ পায় তবে সে যে দোয়া করবে কবুল হবে। এ স্থানে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। 


৬. হাতিমে কাবা বা হিজরে ইসমাইল:  কাবা শরিফ সংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত উঁচু অর্ধ চাঁদের ন্যায় গোলাকার স্থানকে হাতিমে কাবা বা হিজরে ইসমাইল বলা হয়। এখানে নামাজ পড়া এবং দোয়া করা, কাবা ঘরের দোয়া করার সমান। আর এ কারণেই তাওয়াফের সময় হাতিমে কাবাকেও তাওয়াফ করতে হয়। এ স্থানের দোয়া আল্লাহ সব সময় কবুল করে নেন।


৭. মুলতাজাম: এটি এমন একটি এলাকা যা একদিকে হাজরে আসওয়াদের পাশে অবস্থিত, অন্যদিকে কাবার দরজা। তাওয়াফ শেষ করার পর এখানে এসে দোয়া করতে হয়। এ স্থান ধরে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা সব সময় এ স্থানের দোয়া কবুল করে নেন।


 ৮. মাতআফ বা তাওয়াফের স্থান:  এক কথায় কাবা শরিফের চারদিকের চত্ত্বর। যে স্থানের ওপর দিয়ে হজ ও ওমরা পালনকারীরা তাওয়াফ করে থাকেন। এটিও একটি দোয়া কবুল হওয়ার প্রসিদ্ধ স্থান।

শহীদ

×