
ছবি: সংগৃহীত।
মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। মস্তিষ্ককে সজীব ও কার্যকর রাখতে পারলে তবেই আজকের ইঁদুর দৌড়ে পাল্লা দেওয়া সম্ভব। তাই শরীরচর্চার মতো মস্তিষ্কচর্চার দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। এর সজীবতা, উৎপাদনশীলতা ও সৃজনশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস। তবে চিন্তার কিছু নেই। এর জন্য প্রতিদিন মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই হবে। আর এই চর্চায় পরিশ্রমেরও বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
৫ মিনিটের ধ্যান
প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁচ মিনিট ধ্যান করলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বাড়ে। এর ফলে স্ট্রেস কমে, স্নায়ু সংযোগ দৃঢ় হয়, মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। সামগ্রিক জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা ও মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্যানের সময়ও বাড়াতে হবে।
সকালে ৫ মিনিটের পড়াশোনা
প্রতিদিন সকালে অন্তত ৫ মিনিট পড়াশোনা করুন। খবরের কাগজ, কল্পকাহিনি, নন-ফিকশন, ছোটো গল্প যাই হোক না কেন, নিয়ম করে পড়ুন। এই অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকলাপকে উৎসাহ দেয়, বোধবুদ্ধি এবং শব্দভাণ্ডার বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং জ্ঞানীয় দক্ষতা দৃঢ় হয়।
৫ মিনিটের ধাঁধার সমাধান
দিনে অন্তত পাঁচ মিনিট ধাঁধার সমাধানের চেষ্টা করুন। ক্রসওয়ার্ড, সুদোকু, দাবা, ব্রেনভিটা, ইত্যাদি মস্তিষ্কের ব্যায়ামের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও, অঙ্ক কিংবা জটিল প্রশ্নের সমাধানও মস্তিষ্কচর্চার জন্য উপযুক্ত। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও চিন্তার উদ্দীপনা বাড়ে। জ্ঞানের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
৫ মিনিটের শরীরচর্চা
মস্তিষ্কের সক্রিয়তার জন্য শরীরচর্চাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাম্পিং জ্যাক, স্ট্রেচিং কিংবা অল্প সময়ে দ্রুত হাঁটার শারীরিক কার্যকলাপ মস্তিষ্ককে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে, মানসিক স্বচ্ছতা এবং মনোযোগ উন্নত করে। এই বর্ধিত সঞ্চালন ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। ফলে মেজাজ এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
৫ মিনিটের সৃজনশীলতা
পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোনও সৃজনশীল কাজ করাই সম্ভব নয়। তবে তাও শুরুটা অন্তত পাঁচ মিনিট দিয়েই করুন। বাদ্যযন্ত্র, নাচ কিংবা গানের অনুশীলন করতে পারেন। লেখালিখির অভ্যাসও করতে পারেন। ক্রমে সময় বাড়ান। এতে মস্তিষ্কের নমনীয়তা, হাত-চোখের সমন্বয় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। লেখালিখি করলে জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। মানসিক বুদ্ধিমত্তা উন্নত হয়।
৫ মিনিটের কৃতজ্ঞতা
জীবনে যে সমস্ত জিনিস অর্জন করতে পেরেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। মনে মনে সকলকে ধন্যবাদ জানান। এর ফলে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি পায়। চাপ কমে এবং মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
সায়মা ইসলাম