
ছবি : সংগৃহীত
সহজে ক্লান্তি অনুভব হলে যা করবেন
ফিট থাকার জন্য স্ট্যামিনা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীর ও মনকে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম সহ্য করতে সহায়তা করে। স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম, ডায়েট ও জীবনধারার সঠিক সমন্বয় জরুরি।
ব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্যামিনা বাড়ানোর উপায়:
-প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন, যেমন বেঞ্চ প্রেস, সাইক্লিং, পুশ-আপ, জাম্পিং জ্যাক, স্টেয়ার ক্লাইম্বিং, সুইমিং এবং হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (HIIT)।
খাবারের মাধ্যমে স্ট্যামিনা বাড়ানোর উপায়:
- পুষ্টিকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার স্ট্যামিনা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখে।
কলা : কলায় ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাটের সঠিক অনুপাত থাকে, যা এনার্জির ভাল উৎস।
কালো কফি : ক্যাফিন মস্তিষ্ক এবং শরীরকে উদ্দীপিত করে, অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ না করেই তাৎক্ষণিক এনার্জি প্রদান করে।
ব্রাউন রাইস: সাদা চালের তুলনায় ব্রাউন রাইস কম প্রসেসিংয়ের ফলে পুষ্টি ধরে রাখে এবং জটিল কার্বোহাইড্রেটের কারণে দীর্ঘ সময় শক্তি প্রদান করে।
মাছ: মাছ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করে।
মুরগি ও ডিম: উচ্চ প্রোটিন এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ, যা শরীরে শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
শক্তি এবং স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত,
যেমন মদ, দুধ, তামাক, ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত বাইরের খাবার।
বাড়িতে স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে:
ধীরে চলুন: স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য ধীরে ধীরে শরীরের সহনশীলতা অনুযায়ী কাজ করুন, কারণ রাতারাতি উন্নতি হবে না ।
সুষম ডায়েট মেনে চলুন: প্রোটিন বা আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি সুষম ডায়েট মেনে চলা জরুরি, এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
বিষয়টি উপভোগ করুন: স্ট্যামিনা বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি দুঃখজনক নয়, বরং উপভোগ্য হওয়া উচিত। আপনি যা ভালোবাসেন তা দিয়ে শুরু করুন এবং মানসিক চাপ না বাড়িয়ে প্রক্রিয়াটি উপভোগ করুন।
আঁখি