ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রত্যেক মায়ের যে ৯টি কথা তার কিশোরী মেয়েকে বলা উচিত

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:১০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রত্যেক মায়ের যে ৯টি কথা তার কিশোরী মেয়েকে বলা উচিত

ছবিঃ সংগৃহীত।

মেয়েটি সঠিক পথে চলুক, আত্মবিশ্বাসী হোক এবং জীবনে সফল হোক। মায়েরা তাদের মেয়েদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়, যা তাদের জীবনে গাইডলাইন হিসেবে কাজ করতে পারে। এখানে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ কথা যা প্রত্যেক মায়ের উচিত তার কিশোরী মেয়েকে বলা:

১. নিজেকে ভালবাসো এবং নিজের প্রতি সম্মান রাখো
মা মেয়েকে এই কথা বলার মাধ্যমে তাকে শেখান, যে নিজের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র নিজেকে ভালোবাসলেই সে অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পাবে এবং আত্মবিশ্বাসী হবে। মেয়েকে শেখাতে হবে যে, নিজেকে তুচ্ছ বা ছোট ভাবা ঠিক নয় এবং নিজের মূল্য বুঝতে হবে।

২. শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জন করো, কারণ সেটা তোমার শক্তি
শিক্ষা জীবনের অন্যতম শক্তি, যা কোনো কিছুই ছিনিয়ে নিতে পারবে না। মা মেয়েকে মনে করিয়ে দেয় যে, পড়াশোনা এবং জ্ঞান অর্জনই তাকে জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে। মেয়েটিকে তার পছন্দের বিষয়গুলোর ওপর মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে তার ভবিষ্যত উন্নত হয়।

৩. নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে শেখো
 কিশোরী বয়সে নানা ধরনের অনুভূতি হতে পারে—আবেগ, দুঃখ, ক্রোধ, আনন্দ—সব কিছু সঠিকভাবে প্রকাশ করতে শেখা খুব জরুরি। মা তার মেয়েকে শেখান যে, নিজের অনুভূতিগুলো গোপন না রেখে সঠিকভাবে শেয়ার করা উচিত। এতে মেয়েটি আরও মুক্ত মনে থাকতে পারে এবং সম্পর্কেও সুস্থতা বজায় থাকবে।

৪. নিজের সিদ্ধান্ত নিতে শিখো, অন্যের মতামতকে মূল্য দাও, কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তই প্রথম
 মা তার মেয়েকে শেখান যে, সে যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখে, তবে জীবনে সফল হতে পারে। অন্যদের মতামত গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে শেষ সিদ্ধান্ত তার নিজেরই হওয়া উচিত। এটিই তাকে আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাধীন করবে।

৫. জীবনে অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে শিখো, তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী থেকো
মা মেয়েকে শেখান যে, জীবনে সন্তুষ্টি পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেখানেই থেমে না থেকে, আরো উন্নতির জন্য চেষ্টা করা উচিত। উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়া এবং নিজের সীমা চ্যালেঞ্জ করা তাকে সফলতা অর্জনে সাহায্য করবে।

৬. নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দাও
মেয়েকে শেখাতে হবে যে, তার শরীর এবং স্বাস্থ্য একটি অমূল্য সম্পদ। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার গুরুত্ব তাকে বুঝাতে হবে। আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী থাকার জন্য শরীরের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।

৭. তোমার অনুভূতি এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সীমানা নির্ধারণ করো
মা মেয়েকে শেখান যে, জীবনে সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে সীমানা থাকা উচিত। সে যেন কখনও তার প্রতি অসম্মানজনক আচরণ সহ্য না করে, এবং তার মানসিক এবং শারীরিক সীমানা সম্মানিত করতে শিখে। আত্মসম্মান বজায় রেখে সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।

৮. জীবনের উত্থান-পতনকে স্বাভাবিক হিসেবে নাও
মেয়েটিকে শেখাতে হবে যে, জীবন সবসময় মসৃণ হবে না—এতে উত্থান-পতন থাকবে। কিন্তু সেগুলির সঙ্গেও আপস করা এবং এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মা তাকে জীবনের সমস্যাগুলির সাথে মোকাবিলা করার শক্তি দেয়, যাতে মেয়েটি মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল থাকতে পারে।

৯. যে কোনো পরিস্থিতিতে সততার সাথে থাকতে শেখো
মা মেয়েকে শিক্ষা দেন যে, সততা হলো সবচেয়ে বড় গুণ। কোন পরিস্থিতিতে হলেও সৎ থাকতে হবে। এটা তাকে জীবনে বিশ্বাসযোগ্য এবং মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে, এবং নিজের মনও শান্ত থাকবে। এই নয়টি কথা মা তার কিশোরী মেয়েকে বললে, সে সঠিক পথে চলতে পারে এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×