ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

আধুনিক জীবনের চাপে ভাঙছে সম্পর্ক: কেন বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আধুনিক জীবনের চাপে ভাঙছে সম্পর্ক: কেন বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

বিবাহ, ভালোবাসা আর স্বপ্ন নিয়ে শুরু হলেও, সব সম্পর্ক চিরকাল এক পথে চলে না। যখন সম্পর্কের টানাপোড়েন অসহনীয় হয়ে ওঠে, তখন অনেকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন—বিবাহবিচ্ছেদ।

বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের কারণ :

১. সংসার করতে গেলে দুইজন দুইজনকে বোঝা দরকার দুজন দুজনের কাছে গুরুত্ব থাকা দরকার আর তাদের সম্মান করা দরকার। কিন্তু এখন এ জিনিসটা একদম কমে গেছে ।

২. আসে যদি ছেলে মেয়ের অমতে বিয়ে দেওয়া হলে। তারা তারপর সেটা মেনে নিতে পারে না বা মানিয়ে গুছিয়ে চলতে পারে না, কোথাও না কোথাও খুব সৃষ্টি হয় মনে ,এটার জন্য বাবা মা দায়ী থাকে । কারণ কখনোই ছেলে মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া উচিত নয় । 

৩. পরক্রিয়া কারণ মানুষের চাহিদা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে নিজের পার্টনারকে অনেক সময় গুরুত্ব না দিয়ে অন্যদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলা তারপর পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়া সংসারে অশান্তি শুরু হওয়া এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ । 

৪. এখন মানুষজন সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি সময় দিচ্ছে নিজের প্রিয় মানুষদের থেকে, আর সোশ্যাল মিডিয়া দেখে অনেক কিছুই নিজের মনে এক্সপেক্টেশন তৈরি হচ্ছে যেগুলো হয়তো না পেলে কোথাও না কোথাও একটা সমস্যা সৃষ্টি করছে। ।

৫. কিছু মেয়ে ইনকাম করতে শিখে গেলে তখন নিজেরটাই ভাবে, তখন ভাবে যে আমি ইনকাম করছি মানে আমি সবকিছুই আমি বড় ,নিজেকে বড় মনে করা এটাও একটা বিচ্ছেদের কারণ।

৬. এখন যোগ পরিবর্তন হয়েছে মেয়েরাও স্বাবলম্বী হতে শিখেছে, অনেক সময় কাজের দিকে মন দিতে গিয়ে সংসারকে সময় ঠিকভাবে দিতে না পারায় দুটোকে একসাথে ব্যালেন্স না করতে পারায় অনেক সময় এটাই কোথাও না কোথাও একটা দূরত্ব তৈরি করছে। 

৭. পরিবার থেকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা, অনেক সময় অনেক মেয়েকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যা সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন একটা মেয়ে বাধ্য হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। 

৮. ধৈর্য শক্তি কম থাকা যা এখনকার জেনারেশনে চলে এসেছে, একটু কোন সমস্যা হলেই সেখান থেকে মানুষজন বেরিয়ে আসতে চাই। নিজের মত বাঁচতে চাই, তাই সংসার করতে গেলে অবশ্যই ধৈর্য শক্তি থাকা দরকার। ।

৯. অতিরিক্ত চাহিদা, অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া, স্বামী/ স্ত্রীর আনুগত্য না থাকা, Self depend মনে করে নিজের ইচ্ছের মত যা ইচ্ছা তা করা, অন্যদের প্রাধান্য না দেওয়া। 

ডিভোর্স হলে শুধুমাত্র যে দুজনের মধ্যে ডিভোর্স হয় না দুটো পরিবারের মধ্যে হয় তার সাথে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে সবথেকে ক্ষতি হয় সেই বাচ্চাটার কারণ সে হয় মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়।

রাজু

×