![কিটো ডায়েট: সুস্থতার পথ নাকি মৃত্যু ফাঁদ? কিটো ডায়েট: সুস্থতার পথ নাকি মৃত্যু ফাঁদ?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/ca13e66d-0a54-4c02-bde7-ce319e55fa65-2502120938.jpg)
ছবি: সংগৃহিত।
কিটো ডায়েট মূলত এমন রোগীদের জন্য প্রণয়ন করা হয় যাঁরা মৃগী বা এপিলেপসি রোগে ভুগছেন। এই ডায়েটের মাধ্যমে মস্তিষ্কে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে উচ্চমাত্রায় চর্বি গ্রহণ করানো হয়, যা খিচুনির পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। তবে ওজন কমানোর জন্য এটি অনুসরণ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন কম শর্করা গ্রহণ করলে শরীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
প্রথমত, শরীর থেকে পানি কমে গিয়ে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এতে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যা বমি, মাথা ঘোরা এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে দাগ পড়ার মতো সমস্যা তৈরি করে।
শর্করার অভাবে শক্তি কমে গিয়ে মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বিরক্তি, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব, মনোযোগের ঘাটতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অধিক চর্বি গ্রহণের কারণে শরীরে ফ্যাটি লিভার, হৃদ্রোগ, কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হাড়ক্ষয়, গাউট এবং হাইপোগ্লাইসিমিয়ার মতো জটিলতা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক ও নন-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, কিটো ডায়েট বন্ধ করে স্বাভাবিক খাবারে ফিরে এলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়।
ওজন কমানোর জন্য অস্বাস্থ্যকর ও অস্বাভাবিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা উচিত। দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা নিশ্চিত করতে সঠিক পুষ্টি পরিকল্পনা অপরিহার্য।
সায়মা ইসলাম