![সন্তানকে সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল মানুষ বানাতে অভিভাবকদের ৬টি গোপন টিপস! সন্তানকে সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল মানুষ বানাতে অভিভাবকদের ৬টি গোপন টিপস!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/11zon_resized-5-2502120622.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
শিশুকে বড় করা অনেকটা কাদামাটি গঠনের মতো, প্রতিটি ছোট পরিবর্তন তাদের ভবিষ্যৎ ব্যক্তিত্বের ওপর প্রভাব ফেলে। আজকের যুগে সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল মানুষ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একজন মনোবিজ্ঞানীর মতে, যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের মধ্যে সহমর্মিতা গড়ে তুলতে সফল হন, তারা নির্দিষ্ট কিছু আচরণ অনুসরণ করেন। আসুন, সেসব আচরণ সম্পর্কে জানি—
১) সক্রিয়ভাবে শোনার অভ্যাস গড়ে তোলা
অনেক অভিভাবক সন্তানের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সত্যিকারের সহানুভূতিশীল শিশু তৈরি করতে হলে প্রথমেই ‘সক্রিয়ভাবে শোনা’ শিখতে হবে। শিশুর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা, তাদের অনুভূতি বোঝা এবং সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেওয়া—এগুলো তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং অন্যদের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হতে শেখায়।
২) অন্যের দৃষ্টিকোণ বোঝাতে উৎসাহিত করা
শিশুকে সহানুভূতিশীল হতে শেখানোর একটি কার্যকর উপায় হলো তাদের অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে শেখানো। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো খেলনা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ হয়, তবে শিশুকে জিজ্ঞাসা করুন— "তোমার বন্ধু কেমন অনুভব করছে যখন তুমি তাকে খেলতে দিচ্ছো না?" এই ধরনের প্রশ্ন শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩) বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করা
সহানুভূতিশীল শিশুরা সাধারণত বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারার মানুষের প্রতি সংবেদনশীল হয়। এজন্য অভিভাবকদের উচিত শিশুদের বিভিন্ন সংস্কৃতির বই পড়ানো, ভিন্ন সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত করা। এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে ও অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়।
৪) নিজের উদাহরণ সৃষ্টি করা
শিশুরা বড়দের দেখে শেখে, তাই অভিভাবকদের উচিত নিজের আচরণে সহানুভূতির উদাহরণ সৃষ্টি করা। অপরিচিত কাউকে সাহায্য করা, বন্ধুদের সমস্যায় পাশে থাকা, প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো—এসব কাজ শিশুকে অনুপ্রাণিত করে।
৫) নিজের আবেগ প্রকাশে ভয় না পাওয়া
অনেক অভিভাবক বিশ্বাস করেন যে, শক্তিশালী হতে হলে আবেগ লুকিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু সত্য হলো, আবেগ প্রকাশের মাধ্যমেই শিশুরা শেখে কীভাবে সংবেদনশীল ও সহমর্মী হতে হয়। অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানদের শেখানো যে, কষ্ট পাওয়া, দুঃখ প্রকাশ করা এবং অন্যের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া স্বাভাবিক।
৬) দয়া ও সহানুভূতির চর্চা করানো
শিশুকে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে দয়ালু হতে শেখানো যেতে পারে, যেমন— বন্ধুদের সঙ্গে খেলনা ভাগাভাগি করা, দুস্থদের সাহায্য করা কিংবা কষ্টে থাকা কাউকে সান্ত্বনা দেওয়া। এসব ছোট ছোট কাজ তাদের মনে দয়ালু ও সহানুভূতিশীল মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
জাফরান