ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

ঘুম ও রাতের খাবারের প্রভাব!

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঘুম ও রাতের খাবারের প্রভাব!

ছবি : সংগৃহীত

এই প্রসঙ্গে আরেকটা জিনিস হচ্ছে, কানেক্টেড একটা কোশ্চেন করি। সেটা হচ্ছে, ঘুম এবং মোর ইম্পর্টেন্টলি ঘুমের যে টাইম মানে, নট জাস্ট ডিউরেশন, যে কেউ একজন হয়তো ভোরের দিকে ছয় ঘন্টা ঘুমাইলো, কেউ একজন হয়তো হচ্ছে সন্ধ্যারাতের দিকে বা হচ্ছে মধ্যরাতের দিকে হচ্ছে ছয় ঘন্টা ঘুমাইলো। এই জিনিসগুলো কি মেমোরি এবং পারফরমেন্সকে এফেক্ট করে কিনা?

জবাবে তিনি বলেন, এবসলিউটলি। এভরিথিং মানে এটা তো অফকোর্স করে। মেমোরি ইজ ডাইরেক্টলি লিংক উইথ স্লিপ। স্লিপ কোয়ালিটি ইনফ্যাক্ট। আপনার যদি ভালো স্লিপ কোয়ালিটি না হয়, মেমোরি আপনার থাকবে না।

কোয়ালিটি বলতে কারণ কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করলো, যে ভাইয়া দিনে কয় ঘন্টা ঘুমাবো, কথা ওই ঘন্টা দিয়ে হচ্ছে মাথাটা কি ঠিক কিনা?

তিনি বলেন, না। টাইম দিয়ে ঠিক। সময়, যখন সূর্য ডুববে। আচ্ছা রাতের বেলা যখন অন্ধকার, ঘুমের সময় হলো অন্ধকারের সময়। যত আর্লি আপনি ঘুমাতে পারেন, তত বেটার। কারণ একচুয়ালি আমি যদি আমার ঘড়িটা জাস্ট একটু দেখাই, এখানে আমার সূর্য উঠার টাইম আসে, সূর্য ডুবার টাইম আসে। মানে লোকেশন ওয়াইজ। আমি এটা কেন, এটার করার আরেকটা কারণ আছে।

কারণ আমাকে আমি তো যেহেতু জার্মানিতে ১০ বছর আছি, নামাজের সময়টা কিন্তু সূর্য ধরে করতে হয়, এবং হ্যাঁ, জার্মানিতে একটা বছরের মধ্যে শীতকালে রাত এত বড় হয়ে যায়, মানে দিন থাক মাত্র ১০ ঘন্টা, ১২ ঘন্টা। সূর্য উঠে হলো ৮:০০ টার সময়, বুঝতে পারছেন।

আমি এখানে স্টেজে। এই সিটি হচ্ছে ৯:০০ টার সময় মানে ৮:০০ টার সময় মনে হয় যে ভোর রাত। লিটারালি এত রাত থাকে। আর ওই শীতকালে, এই টাইমটাতে সূর্য ডুবতেছে পাঁচটা, সরি চারটার সময় সূর্য ডুবে যায়। মানে বুঝছেন, মাঝখানে খুব কম সময় থাকে দিনের আলো। মানে আট ঘন্টার মতো আরকি, মানে ম্যাক্সিমাম আট ঘন্টা। আপনি যদি একদম চোখ খুলে দেখেন যে, সানলাইট আসতেছে। এবং জার্মানিতে আরেকটা প্রবলেম হচ্ছে, যে ওখানে সূর্যের ওই পুরো উইন্টার টাইমটা এত মেঘলা থাকে, মানে সূর্যের আলো দেখাই যায় না। আমরা আসলে বিষুবরেখার কাছাকাছি তো খুব বেশি ভালো, আমরা খুব ব্যালেন্স।

এটা হ্যাঁ এবং এই উপমহাদেশে এটা একটা আল্লাহর রহমত বলবো, ব্লেসিং বলবো। কারণ ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আমি যদি বলি সাউথ ইস্ট এশিয়া, এসব কান্ট্রি গুলাতে দিন আর রাতের পার্টটা কিন্তু কাইন্ড অফ লাইক ইকুয়াল, ১২ ঘন্টা আর ১২ ঘন্টা। কাইন্ড অফ তো আমাদের ঘুমাতে হবে। যখন অন্ধকার এবং এটা যদি বলি, কিভাবে মেমোরির জন্য বেটার হতে পারে। যখন সূর্য ডুবতেছে, আমি যদি আমার কথা বলি যে, যেহেতু আমি একজন মুসলিম, এটা বাট, ইট ডাজেন্ট হ্যাভ টু বি মুসলিম, মানে ইট ইজ অ্যাপ্লিকেবল ফর এনি পার্সন।

মাগরিবের নামাজ পড়বেন। তারপরে মাগরিবের নামাজ পড়ে তো আস্তে আস্তে কি করে! মানুষজন সন্ধ্যার সময় না! বাংলাদেশের কন্টেক্স যদি আমি চিন্তা করি, তখন মানুষজন পড়ে, রাইট! যে সন্ধ্যার পরে টিচার আসে, তারপর এশার না! এশা হয়। এশার পরে পড়া শেষ করে মানে ঘুমাতে হবে। ম্যাক্সিমাম ১০:০০ টার মধ্যে। আচ্ছা ১০:০০ টার সময় লাইট অফ, এইটা যদি, এটা আমি আমার বাসায় ট্রাই করতেছি ইমপ্লিমেন্ট করতে আবার, হচ্ছে না কারণ ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট। আমরা রাতে খাই কখন, বলেন তো! আপনি খান কখন রাত্রে বেলা? এইতো ১০:০০ টা, ১০:৩০ টায়।

এরকম ডিনার করেন ১০:০০ টা, ১০:৩০ টা। ইট হ্যাজ টু বি স্টপ নাউ। ফ্রম ইউ ভা,ই ইউ হ্যাভ টু স্টপ ইটিং এট ১০। ভাই যারা স্টুডিওতে আছেন, ভাই ১০ টার সময় আর খাওয়া যাবে না।

খাইতে হবে কখন জানেন! আমি ওই স্লিপটা আসার আগে খাওয়াটা কত ইম্পর্টেন্ট। খাওয়া, স্লিপ সব ইম্পর্টেন্ট। খাইতে হবে হলো আপনার, বাংলাদেশে এটা খুবই ডিফিকাল্ট। আমি জার্মান কনটেক্সটে বলতেছি, আমরা জার্মানিতে ডিনার করি বা রাতের খাওয়া খেয়ে ফেলি ছয়টার সময়। হোয়াট এভার দা ইয়ার ইজ। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, মানে কি উইন্টার, সামার যাই হোক, রাতের খাবার হলো ছয়টা। ৬পিএম একদম শার্প। 

জার্মান ভাষায়, আমি যদি জার্মান ভাষায় কেউ বুঝবেন কিনা, যে এটাকে বলে আবেন ব্রোট। আবেন মানে হলো সন্ধ্যা আর এই যে ব্রোট মানে, উচ্চারণ একটু ডিফারেন্ট, ব্রোট মানে রুটি, আবেন ব্রোট। ব্রোট হলো রুটি।

জার্মানরা দিনটা শেষ করে রুটি খেয়ে। রুটি এবং খুব লাইট স্ন্যাক করে রুটি, একটু চিজ বা ওরা মিট খাইলো। বাংলাদেশে আমরা এটাকে শিফট করে নিয়ে গেছি ১০:০০ টার সময়। ১০:০০ টায় খাইলেন, আপনি ভাত। খেয়ে তারপর মনে হয়, আচ্ছা ঠিক আছে ভাত খাইলাম, আমার তো পেটে তো প্রচুর খাবার, প্রচুর এনার্জি, ঠিক আছে, তখন মনে হয় যে, আচ্ছা আমি এখন আমার একটু এই কাজ করি, এই একটু ফোন দিই, একটু এই করি, সেই করি, করতে করতে ১২:০০ টা, ১২:০০ টার সময় আচ্ছা ঘুমাইতে হবে মনে হয়। তাই না! তারপরে একটা সময় যে মানুষজন ঘুমাইতে যায় উঠে কয়টায়

আমাদের স্লিপ কোয়ালিটি কিন্তু ডিপেন্ড করে, আমরা কখন খাচ্ছি এটার উপর। ট্রাস্ট মি, আমি যদি কি ফ্যাক্টরটা বলি, একদম কি মানে ডাইসেক্ট করি, কারণ আমি মানে আমাকে যেহেতু সাইন্স নিয়ে মানে আমি বলব যে, আমি সাইন্টিস্ট! আপনি আমাকে অনেক অনেক বড় একটা নাম, হচ্ছে সিনিয়র জিনোমিক সাইন্টিস্ট! বাট, আই এম এ লার্নার। আই লার্ন এভরিথিং হোয়াট আই গেট।

সো ব্যাপারটা হচ্ছে যে, আজকে থেকে ওই, আপনি যখন মানে মানুষ যখন জাস্ট ঘুমের আগে খায়, ১০:০০ টার সময় খেয়ে ফেলে, এবং চেষ্টা করে এবং আপনি তখন ঘুমাইতেই পারবেন না, আপনার তখন বডি একদম মানে রিচার্জড হয়ে গেছে। কারণ আপনি যখন এতগুলা খাবার খাইতেছেন, খাবার খাওয়ার পরে ওইটাকে ভেঙে চুড়ে শেষ করতে অনেক সময় লাগে, বাট মোটামুটি তিন ঘন্টার মধ্যে খাবারটা চলে যায়, বডি থেকে পেট খালি হয়ে যায়। তো ওই তিন ঘন্টা তো আপনাকে দিতে হবে। রাইট, আপনি যদি আটটার সময় খান, ৯, ১০, ম্যাক্সিমাম ১১টা।  ১১ টার সময় আপনার লাইট অফ করতে হবে। কিন্তু ১১ টাও একটু লেট হয়ে যায়, মানে ম্যাক্সিমাম সাড়ে ১০টা।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=myphq0_3jaI

মো. মহিউদ্দিন

×