ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

কান্না করার চমৎকারী উপকারিতা

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কান্না করার চমৎকারী উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

কান্নাকে অনেকেই দুর্বলতার প্রতীক মনে করেন। তবে গবেষণা বলছে, কান্নার রয়েছে নানা শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা। এটি শুধু আবেগ প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করা, মানসিক চাপ কমানো এবং মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

স্ট্রেস কমায়
কান্না করলে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন কমে যায়, যা মনকে হালকা ও প্রশান্ত করে।

বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে
কান্নার মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করলে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে ও মন ভালো রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার পর রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়, যা হার্টের জন্য উপকারী।

চোখ পরিষ্কার রাখে
কান্নার সময় চোখ থেকে লাইসোজাইম নামে একটি উপাদান বের হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ও চোখকে পরিষ্কার রাখে।

মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে
কষ্ট বা দুঃখ চেপে না রেখে কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ করলে মানসিক চাপ কমে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ঘুম ভালো হয়
কান্নার পর মন শান্ত হয়, যার ফলে ঘুম দ্রুত আসে এবং ঘুমের গুণগত মান ভালো হয়।

কান্নাকে দুর্বলতা মনে না করে আবেগ প্রকাশের স্বাভাবিক পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং আবেগ সামলাতে সাহায্য করে। তাই মন খারাপ হলে কান্না চেপে না রেখে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন।

শিলা ইসলাম

×