সংগৃহীত
বর্তমানে যখন সবাই এক অন্ধকার সময় পার করছে, তখন নিজেদের হতাশ এবং উদ্বেগগ্রস্ত অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক।তবে সুখবর হল, মনোবিজ্ঞানী লোওরি ডাউথওয়েইট-ওয়ালশ কিছু কার্যকর উপায় শেয়ার করেছেন, যা আপনার মস্তিষ্ককে কঠিন সময়ে আরও ভালোভাবে সামলাতে সাহায্য করবে। এগুলো অবশ্য সবকিছু সমাধান করবে না, কিন্তু এই অভ্যাসগুলোকে প্রতিদিনের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করলে আপাতত কিছুটা সান্ত্বনা পাওয়া সম্ভব এবং ভবিষ্যতে এতে সহায়ক প্রভাব ফেলবে, যখন পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।
এখানে ৪টি সহজ অভ্যাস যা সুখী মানুষ প্রতিদিন করেন এবং যা তাদের সারা সপ্তাহে ইতিবাচক অনুভূতি রাখতে সহায়ক:
শরীরচর্চা করুন
এটি মানে নয় যে আপনাকে জিমে যেতে হবে বা ব্যায়াম ক্লাসে সাইন আপ করতে হবে। শুধু প্রতিদিন কিছুটা হাঁটলেই আপনার শরীর এবং মন ভালো থাকবে। শারীরিক কার্যকলাপ এবং মানসিক সুস্থতার মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত।
যে কোনো মাঝারি মানের ব্যায়াম, যা আপনার হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, তা আপনার মানসিক অবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন কিছু করুন যা আপনাকে কিছুটা শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হবে, যেমন কিছুক্ষণের জন্য হাঁটা বা ধীরগতিতে দৌড়ানো। এটি আপনার মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য উপকারী হতে পারে।
সম্পর্কে সময় দিন
যখন আমরা চাপের মধ্যে থাকি বা মন খারাপ থাকে, তখন অনেক সময় আমরা একা থাকতে পছন্দ করি বা এমন কিছু করি যা অন্যদের সাথে সম্পর্কিত নয় - যেমন বই পড়া বা টিভি দেখা। যদিও এগুলো কিছু সময় সহায়ক হতে পারে, তবে গবেষণা দেখিয়েছে যে প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানো অনেক বেশি কার্যকর।
একাকীত্ব সাধারণত নেতিবাচক অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, অথচ প্রিয় মানুষদের সাথে সংযোগ আমাদের মানসিক শান্তি আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও, সময় কাটানোর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে সামলাতে সহায়ক শক্তি তৈরি করতে পারি।
কৃতজ্ঞতা চর্চা করুন
আপনি হয়তো ভাবছেন, “এই আবার কেমন কথা, কৃতজ্ঞতা চর্চা করে কি সব সমস্যার সমাধান হবে?” তবে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কৃতজ্ঞতা এবং আশাবাদ আমাদের মানসিক অবস্থাকে অনেক ভালো রাখে।
কৃতজ্ঞতা চর্চা আমাদের মস্তিষ্ককে ইতিবাচক চিন্তা ও অনুভূতির দিকে ঠেলে দেয়, এবং নেতিবাচক অনুভূতির বিরুদ্ধে সহায়ক সুরক্ষা তৈরি করে। প্রতি সন্ধ্যায় "তিনটি ভালো জিনিস" লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে দিনের শেষে আপনি তিনটি ভালো ঘটনা লিখবেন, এমনকি যদি তা খুব সাধারণ কিছু হয় -যেমন আপনার প্রিয় কফি তৈরি হওয়া।
পোষা প্রাণী বা অন্যান্য প্রাণীর সাথে সময় কাটান
পোষা প্রাণী মনোবল বাড়াতে সহায়ক এবং উদ্বেগ বা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত, কুকুর পোষা থাকলে প্রতিদিন হাঁটার কারণে আপনার শরীর ও মন ভালো থাকবে।
যদি আপনার পোষা প্রাণী না থাকে, তবুও আশেপাশে পাখি, শিম্পাঙ্ক বা অন্য কোনও প্রাণী থাকতে পারে। কিছু সময়ের জন্য তাদের আচরণ লক্ষ্য করা অনেকটাই শান্তিদায়ক হতে পারে। শুধু একটি পার্কে বা বাগানে বসে থাকতে পারলে আপনার মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে, কারণ এটি আপনাকে আপনার চিন্তা থেকে বের করে বাস্তব জগতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
এই ৪টি অভ্যাস আপনার মানসিক সুস্থতা ও সুখ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। এগুলো প্রতিদিনের জীবনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব, যা আপনার সারা সপ্তাহে ইতিবাচক অনুভূতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/2hsmnkf
আফরোজা