ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

শ্বেতি রোগ কেন হয়, কাদের ঝুঁকি বেশি?

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শ্বেতি রোগ কেন হয়, কাদের ঝুঁকি বেশি?

শ্বেতী রোগ

আমাদের আশপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের ত্বক অন্যদের ছেয়ে আলাদা। তাদের ত্বকে সাদা ছোপ ছোপ রং দেখা যায়। ত্বকের রঙের এমন তারতম্যকে শ্বেতি বা ধবল রোগ বলা হয়। এটি ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ।

আমাদের মাঝে অনেকেই মনে করেন, এই শ্বেতি রোগ ছোঁয়াচে এবং অভিশপ্ত। তাই তারা এমন রোগীদের থেকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। সাধারণ মানুষ যেহেতু শ্বেতি রোগীদেরকে এমন চোখে দেখেন, তাই তারা নিজেদের নিয়ে সব সময় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব কেন এই রোগ হয় এবং কাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ত্বকের রোগগুলোর মধ্যে শ্বেতি রোগ অন্যতম। এই রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত স্থানটি সাদা হয়ে ত্বকের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামক একটি কোষ আছে, যার কাজ হচ্ছে মেলানিন উৎপাদন করা। এই মেলানিনের কারণেই আমাদের ত্বকের রঙে ফর্সা, বাদামি কিংবা অন্যান্য তারতম্য দেখা যায়। যখন ত্বকের কোনো অংশের মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেখানে মেলানিন উৎপন্ন হতে পারে না এবং মেলানিনের অভাবেই ওই অংশটি অনেকটা সাদা হয়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ শ্বেতি রোগে আক্রান্ত। জনসংখ্যাবিষয়ক অনলাইন ডেটাবেজ ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ (ডব্লিউপিআর) অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটিরও বেশি। সে হিসেবে শ্বেতি রোগীর সংখ্যা আট কোটির বেশি।

শহীদ

×