ছবি: সংগৃহীত
শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পানি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য অপরিহার্য। পানি আমাদের হজম, ত্বক, কিডনি, এবং সারা শরীরের কার্যক্রম সুষ্ঠু রাখতে সহায়তা করে। শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
১. সকালে প্রথমেই পানি পান করুন:
প্রথমে সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি গ্লাস পানি পান করা খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর পর শরীরে পানি কমে যায়, এবং প্রথমে পানি পান করলে শরীরের হাইড্রেশন পুনরুদ্ধার হয়। এটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে এবং শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। সকালের পানি শরীরকে সতেজ এবং সক্রিয় রাখে।
২. সব সময় একটি পানির বোতল সঙ্গে রাখুন:
যতক্ষণ না আমরা পানি হাতে রাখি, ততক্ষণ মনে থাকে না পানি খাওয়ার কথা। তাই, সব সময় একটি পানির বোতল সঙ্গে রাখুন যাতে সহজেই পানি পান করতে পারেন। বিশেষত অফিস, বাসা বা বাইরে থাকলে, পানির বোতল আপনার হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এটি আপনাকে কাজের মধ্যে ব্যস্ততা বা ভ্রমণে প্রয়োজনীয় পানি পান নিশ্চিত করবে।
৩. পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন:
প্রতিদিন আপনি যেই পরিমাণ পানি পান করেন, তা একটু বাড়ানোর চেষ্টা করুন। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত, তবে এটি শরীরের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। পানি পান করলে শরীরের হজম প্রক্রিয়া, শক্তি এবং ত্বক ভালো থাকে। গরম আবহাওয়ায় বা শারীরিক পরিশ্রমের পর পানি খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।
৪. পানিযুক্ত খাবার খান:
খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ও প্রচুর পানি পান করা সম্ভব। বেশ কিছু পানিযুক্ত খাবার রয়েছে যা শরীরে পানি সরবরাহ করে। যেমন:
ফলমূল: তরমুজ, কমলা, আঙ্গুর, আপেল, পেঁপে, স্ট্রবেরি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পানি থাকে।
সবজি: শসা, টমেটো, পালং শাক, গাজর, ব্রকলি ইত্যাদির মধ্যে পানি পরিমাণ বেশি থাকে।
সূপ এবং জুস: তাজা ফলের জুস অথবা স্যুপও শরীরে পানি সরবরাহে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত টিপস:
শরীরের পানি পরিমাণের জন্য চা, কফি বা সফট ড্রিংক না বেশি, বরং পানি এবং প্রাকৃতিক জুস বেশি গ্রহণ করুন। বেশি পরিমাণে পানি পান করার ফলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন (টক্সিন বের করা) প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সর্বোপরি, শরীরের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য। আপনার পানির চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস এবং পানির পরিমাণ সামঞ্জস্য রেখে আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে পারবেন।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক