ছবিঃ সংগৃহীত
ভয়কে জয় করতে চান, সাফল্য চান ও রাজার মতো বাঁচতে চান? তাহলে আপনি ঈগল থেকে শিখুন। ঈগলের মানসিকতা অর্জন করুন। কারণ প্রাণী জগতে ঈগল একমাত্র পাখি, যার জীবন থেকে শেখার আছে বেঁচে থাকার মারাত্মক কিছু সত্য।
ঈগলের জীবন থেকে নেয়া কিছু গল্প:
ঈগল অন্যসব পাখিদের সাথে একত্রে উড়ে না। ঈগল শুধু তার সমপর্যায়ের ঈগলদের সাথে উড়ে অথবা একা উড়ে। কারণ অনেক উঁচুতে উড়তে চায়, আর উঁচুতে অন্য পাখি উড়ার চিন্তাও করতে পারে না। আমাদের জীবনেও আমরা অনেক সময় সঙ্গদোষে নিজের গন্তব্য থেকে দূরে সরে যাই। কিন্ত ঈগল বলে, অনেক উঁচুতে যেতে চাইলে একা যাওয়ার সাহস করতে হবে।
ঈগলকে মানুষ চিনে শিকারি পাখি হিসেবে৷ কিন্ত ঈগলকে চিনতে হবে তার ধৈর্য দিয়ে। সে যখন তার কোনো শিকারকে টার্গেট করে, তার উপর থেকে ফোকাস হারায় না। ঈগলের নজর এতই তীক্ষ্ণ যে, ৫ কিলোমিটার দূর থেকে শিকারকে নজরে রাখতে পারে। যত কঠিনই হোক, শিকার না ধরা পর্যন্ত ধৈর্য হারায় না ঈগল। বেশিরভাগ হতাশ মানুষ কোনো কাজে বেশিক্ষণ ফোকাস রাখতে পারে না। কিন্ত লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে একটা অসম্ভব কাজকেও সম্ভব করা যায় তা শেখার আছে ঈগলের কাছ থেকে।
শিকার ধরার ক্ষেত্রে ঈগলের যেমন নীতি আছে তেমনি খাদ্য গ্রহণেও ঈগলের নীতি আছে। পাখিটির আত্মমর্যাদা প্রবল। যত ক্ষুদার্থই হোক সে, কখনো মৃত জিনিস খায় না ঈগল। কষ্ট করে শিকার করা জিনিসই খায় শুধু ঈগল।
মানুষের মাঝে অনেক পরজীবি মানুষ দেখা যায়, যারা অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে চায়। ঈগলের শিক্ষা হলো, যা তার দরকার পরিশ্রম করে নিবে সে।
বড় ঝড় এলে ঈগল অন্য পাখির মতো আশ্রয় নেয় না; বরং ডানার জোরে ঝড়ের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। জীবনের সংকট ও চ্যালেঞ্জগুলোকে বাধা মনে না করে, তা কাজে লাগিয়ে আরও ওপরে ওঠার কৌশল রপ্ত করতে হবে।
ঈগল যখন বৃদ্ধ হয়, তখন সে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে। সে নিজের নখর ও ঠোঁট পরিবর্তন করে দীর্ঘায়ু পায়। আমরাও জীবনে পরিবর্তন ও উন্নতির জন্য নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিখতে হবে।
ঈগল সাধারণত একা শিকার করে এবং একাই রাজত্ব করে। জীবনে অনেক সময় একা চলতে হতে পারে, সাহসী হতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।
রিফাত