ছবি : সংগৃহীত
হার্ট অ্যাটাক সাধারণত হঠাৎ করেই হয় বলে মনে করা হলেও, শরীর আগে থেকেই কিছু সতর্ক সংকেত পাঠায়। এসব সংকেত দ্রুত চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের আগের কিছু লক্ষণ অবহেলা না করে সতর্ক হলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী সতর্ক সংকেত
✔ বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণ। বুকে চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো অনুভূতি তৈরি হতে পারে, যা কখনো দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
✔ অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিক কাজেও অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা বা বিশ্রামের পরও দুর্বল অনুভব করা। নারীদের মধ্যে এ লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
✔ শ্বাসকষ্ট: কোনো ব্যায়াম বা পরিশ্রম ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত হতে পারে।
✔ বাহু, কাঁধ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষ করে বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
✔ মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমেই মাথা ঝিমঝিম করা বা ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি হতে পারে।
✔ ঠান্ডা ঘাম: বিনা কারণে ঘাম হওয়া বা শরীর হঠাৎ ঠান্ডা লাগতে থাকা। নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
✔ অনিয়মিত হার্টবিট: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হয়ে আসা, বুক ধড়ফড় করা, কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো অনুভূতি।
✔ পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি গোপন সংকেত হতে পারে।
কখন সতর্ক হবেন?
🔴 একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দিলে
🔴 বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে
🔴 বিশ্রাম বা ওষুধ খাওয়ার পরও স্বস্তি না এলে
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
✅ সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
✅ ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
✅ স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং জীবন রক্ষা করতে। তাই হার্ট অ্যাটাকের এসব সতর্ক সংকেত অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মো. মহিউদ্দিন