ছবিঃ সংগৃহীত।
ভয় নিয়ে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। আপনাকে যদি আমি বলি যে আমি আপনাকে একটা পান্স করব এবং সাথে সাথে যদি দিয়ে দেই তাহলে আর কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বারবার যদি বলি এই দিলাম, এই দিলাম তখন এটা আপনার মধ্যে একটা চাপা ভয়ের সৃষ্টি করবে এবং এটা নিয়ে আপনি সবসময় আতঙ্কে থাকবেন।
ধরুন আপনি একটি জঙ্গলের মধ্যে গেলেন এবং একটা বাঘের মুখোমুখি হলেন তখন আপনাকে সাথে সাথেই বাঁচিয়ে আনা হলো। এটা নরমাল, এতে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আপনি পরবর্তী সময় যখনই আবার কোন জঙ্গলের মধ্যে যাবেন বা কোন বনের মধ্যে যাবেন তখন আপনার মনের মধ্যে একটা ভয় থাকবে যে এই বুঝি বাঘ আমাকে ধরলো,
এই বুঝি আবার বাঘ আসলো এটা খুবই ভয়ংকর। তখন আপনি আর কিছুই স্বাভাবিকভাবে করতে পারবেন না। একটা ভয় সব সময় আপনার পিছু তাড়া করতে থাকবে।
ছোটবেলা থেকে যারা এই ধরনের কোন ট্রমা নিয়ে বড় হয়েছেন বা এই কোন ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়।
এই ধরনের ট্রমা থেকে বের হতে কিছু সময় প্রয়োজন হতে পারে। এটি শুধুমাত্র পেশাদার সাহায্য বা থেরাপির মাধ্যমে সুস্থ হতে পারে, বিশেষত যদি ব্যক্তির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ভয় বা PTSD লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত, এই ক্ষেত্রে, কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT) এবং ইএমডি (EMDR) সহ নানা ধরনের থেরাপি সাহায্য করতে পারে।
এছাড়া, যোগব্যায়াম (meditation), মানসিক প্রশান্তি (mindfulness) এবং সামাজিক সমর্থন এর মাধ্যমে ব্যক্তি তার ভয়ের অনুভূতি দূর করতে পারেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যখন কেউ ভয় বা আতঙ্কে ভোগেন, তখন তাকে সাহায্য চাইতে বা তার অনুভূতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। অতএব, মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি অবহেলা করা উচিত নয়।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক