ছবিঃ সংগৃহীত
আমরা প্রায়ই শুনি, নেগেটিভ মানুষদের এড়িয়ে চলা উচিত। কিন্তু যখন সেই ব্যক্তি আমাদের পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বা কাছের আত্মীয় হন, তখন দূরে সরে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। বরং তাদের নেতিবাচক মানসিকতা বদলানোর চেষ্টা করাই বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে।
নেতিবাচক মানসিকতা কীভাবে বদলানো সম্ভব?
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাতারাতি বদলায় না। তবে ধাপে ধাপে কিছু কৌশল প্রয়োগ করলে নেগেটিভ মানুষদের ইতিবাচক পথে আনা সম্ভব।
১. বোঝার চেষ্টা করুন, কিন্তু প্রভাবিত হবেন না
অনেক মানুষ পরিস্থিতি বা অতীত অভিজ্ঞতার কারণে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। তাদের কথাগুলো শুনুন, কিন্তু তাদের নেতিবাচকতা আপনাকে প্রভাবিত করতে দেবেন না।
২. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরুন
নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষদের কাছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরুন। তারা যদি সবকিছুর খারাপ দিক নিয়ে কথা বলেন, তবে তাদের ভালো দিকগুলোর ওপর মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করুন।
৩. যুক্তির মাধ্যমে বাস্তবতা বুঝিয়ে বলুন
অনেক সময় নেতিবাচক মানুষরা বাড়াবাড়ি করে সমস্যাকে বিশাল করে দেখেন। বাস্তব উদাহরণ ও যুক্তি দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, সবকিছুর ভালো দিকও আছে।
৪. নিজের সীমারেখা নির্ধারণ করুন
যদি কেউ ক্রমাগত নেতিবাচক কথাবার্তা বলেন, তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলুন যে, আপনি সবসময় এই ধরনের আলোচনা শুনতে প্রস্তুত নন। কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে সীমারেখা টেনে দিন।
৫. তাদের পাশে থাকুন, কিন্তু নির্ভরশীল হতে দেবেন না
কেউ যদি সবসময় অভিযোগ করে বা হতাশার কথা বলে, তাহলে তাকে সহানুভূতি দিন, কিন্তু তাকে এই অভ্যাসের মধ্যে আটকে যেতে উৎসাহ দেবেন না। বরং তাকে সমাধানের দিকে ধাবিত করুন।
৬. তাদের ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন
নেতিবাচক চিন্তা দূর করার অন্যতম উপায় হলো সুস্থ জীবনযাপন ও ইতিবাচক কাজ করা। তাদেরকে বই পড়তে, শরীরচর্চা করতে, বা নতুন কিছু শেখার জন্য উৎসাহিত করুন।
৭. ধৈর্য ধরুন, পরিবর্তন একদিনে আসে না
যে কেউ পরিবর্তন হতে পারেন, তবে তার জন্য সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরুন এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যান।
কাছের মানুষদের নেতিবাচক মানসিকতা বদলানো সহজ কাজ নয়, তবে অসম্ভবও নয়। ধৈর্য, ইতিবাচকতা এবং কৌশলী মনোভাব নিয়ে এগোলে আপনি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারেন। তবে, যদি সব চেষ্টা করেও ফল না পান, তাহলে নিজেকে মানসিকভাবে সুরক্ষিত রাখার দিকেও নজর দিন।
জাফরান