ছবি; সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যস্ত জীবনযাত্রা, শরীরচর্চায় অবহেলার জন্য সবাই হৃদরোগ ও মস্তিষ্কের সমস্যার সম্ভবনায় ভুগছি। আমাদের নানা ভুল সিদ্ধান্ত ও অজ্ঞতা এই অসুখের মূল কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু সাবধানতা মেনে চললে সহজেই এই অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন: হৃদরোগ ঠেকাতে নজর রাখুন কোলেস্টেরলের দিকে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়।
ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়৷ তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে এই কোলেস্টেরলও দায়ী।
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ব্লাড প্রেশার বাড়লে নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ থাকে না। কখনও কারোর মাথা ব্যথা করে, হঠাৎ মাথা টলে যেতে পারে, কখনও দুর্বল লাগে, সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসের কষ্ট ও বুক ধড়ফড় করে।
আবার নিজে থেকে তা ঠিকও হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষই এই ধরণের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কিন্তু একটানা এই সমস্যা হলে জীবনযাপনে প্রভাব পড়বে, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এছাড়া কিডনি বিকল হতে পারে এমনকি চোখের রেটিনাও নষ্ট হতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস রোগীদের বরাবরই হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যাদের ব্লাড সুগার অসম্ভব পরিমাণে ওঠানামা করে, তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
ধূমপান বাদ দিন: ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এসব কিছু জানার পরও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ধূমপান করেন। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, সিগারেট খেলেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
শরীরচর্চা করুন: ব্যায়াম করতে সময় না পেলে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য এই উপায় অত্যন্ত কার্যকর।
আর যাদের মস্তিস্ক রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য দরকার হচ্ছে হেলদি ফ্যাট। কারণ মস্তিস্কের জন্য সব সময় ফ্যাট খাবার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ভেজিটেবল জুস খাওয়া লাগবে। হাইড্রোওয়াটার ইলেক্টট্রিক মানে লবন। লবন ও চর্বি হলো ব্রেনের খাবার। এই লবন কিন্তু সেই লবন নয়। আমাদের ধারণা ছিল জাল পোড়া কম খেতে হবে। মসলা কম খেতে হবে। আসলে তা নয়। জাল হচ্ছে একটা মেডিসিন। জাল প্রত্যেকটা অর্গান থেকে টক্সিন বের করে নিয়ে আসে।
শহীদ