প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত
দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক স্বামী অভিযোগ করেন, তাঁদের স্ত্রী তাঁদের ‘ছোট’ করেন বা যথাযথ সম্মান দেন না। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ থাকতে পারে।
আর্থিক দুর্বল:
সমাজে এখনও অনেকাংশে প্রচলিত ধারণা হলো, একজন স্বামীর আর্থিকভাবে সবল হওয়া উচিত। কিন্তু স্বামী যদি আর্থিকভাবে দুর্বল হন বা পরিবারের ব্যয় বহনে ব্যর্থ হন, অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রী তাঁকে অবমূল্যায়ন করতে পারেন। যদিও এটি করা উচিত নয়, অনেক নারীই হতাশা থেকে এ ধরনের আচরণ করে থাকেন।
সম্পর্কে অনীহা:
যদি একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে পছন্দ না করেন বা বিয়েতে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে তিনি অজান্তেই বা সচেতনভাবে স্বামীর প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের মনোভাব দেখাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ফলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় এবং দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ণ হয়ে ওঠে।
স্বামী যদি নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে ব্যর্থ হন:
একজন স্বামী যখন সম্পর্কের দায়দায়িত্ব নিতে পারেন না, পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন বা নিজেকে আত্মবিশ্বাসীভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না, তখন অনেক স্ত্রী তাঁকে দুর্বল মনে করেন। এর ফলে সম্মানের অভাব দেখা দিতে পারে।
সমাধান কী?
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব খোলামেলা আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা, আর্থিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং দাম্পত্য জীবনে উভয়ের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসব দিকেই মনোযোগী হওয়া জরুরি।
দাম্পত্য জীবনকে সুখী ও সুস্থ রাখতে একে অপরকে সম্মান করাই মূল চাবিকাঠি। সম্পর্কের ছোটখাটো সমস্যা এড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই।
জাফরান