ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকেন, কিন্তু কিছু মানুষ ঠিকই তুখোড় ও প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা সম্ভব।
আসুন জেনে নিই সেই ৮টি অভ্যাস—
১. আজীবন শেখার মানসিকতা
যারা নিয়মিত নতুন কিছু শেখেন—নতুন বই পড়েন, গবেষণা করেন বা স্কিল ডেভেলপ করেন—তাদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ থাকে এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও উন্নত হয়।
২. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম
শুধু শরীরের জন্য নয়, ব্যায়াম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা ওয়ার্কআউট করলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ উন্নত হয়।
৩. ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা
মানসিক চাপ ও হতাশা বয়সের প্রভাব দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। যারা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন এবং জীবনের ছোট ছোট জিনিসকে উপভোগ করেন, তারা দীর্ঘমেয়াদে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকেন।
৪. সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা
যারা বয়স বাড়লেও পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তারা একাকিত্বে ভোগেন না এবং মানসিকভাবে আরও সক্রিয় থাকেন।
৫. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা
সঠিক পুষ্টি গ্রহণ মস্তিষ্ক ও শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘমেয়াদে বুদ্ধিমত্তা ও শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
6. মানসিক ব্যায়াম করা
বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর জন্য যারা নিয়মিত দাবা খেলা, পাজল সমাধান, লিখালিখি বা নতুন ভাষা শেখার মতো মানসিক ব্যায়াম করেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিদীপ্ত থাকেন।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
গভীর ও পর্যাপ্ত ঘুম ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের অবক্ষয় রোধ করে।
৮. ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা
যারা জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে সিদ্ধান্ত নেন এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তারা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বিচক্ষণ ও সফল হয়ে ওঠেন।
বয়স বাড়লেই যে কর্মক্ষমতা কমবে—তা সত্য নয়। সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী, বুদ্ধিদীপ্ত ও তুখোড় হয়ে ওঠা সম্ভব।
শিলা ইসলাম
