ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

কমলা ও রসুন একসাথে খেলে কি হয়? জানলে অবাক হবেন!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

কমলা ও রসুন একসাথে খেলে কি হয়? জানলে অবাক হবেন!

কমলা ও রসুন

কমলা ও রসুন একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যদি আপনি খেতে পারেন। তাহলে, বুকে জমাট বাঁধা কফ-কাঁশি তীব্র শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি কমে যাবে। মাত্র তিন দিনে। সুতরাং নিয়মিত আমাদের কমলা খেতে হবে।

কমলা:  কমলা এখন একটি সহজলভ্য ফল। তাই আপনার জন্য সহজ হবে কমলা খেয়ে আপনার রোগী সারাতে। কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি আপনার ফুসফুসের সকল রোগসহ সর্দি-কাশিসহ সকল রোগ ভালো হয় এবং আপনার রোগী প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিবে। 

এছাড়া শরীরকে যেকোন রকমের সংক্রমণের থেকেও বাঁচাবে কমলা। যদি আরেকটু বিস্তারিতভাবে বলা যায় তাহলে কমলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মতো ফ্লাবোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ। যা ফুসফুসকে যেকোন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এমনকি ফুসফুস ক্যান্সারের মতো মরণরোগ থেকে শুধু মাত্র কমলা খেলে আপনি রক্ষা পেতে পারেন। কমলাতে আবার প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। 

এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম পটাসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবারও রয়েছে। তাই শুধুমাত্র ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা এইগুলোই নয়, আপনার শরীরের আরোও অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে কমলা। যেমন ধরুন, আপনার খুব পেট ব্যাথা করছে। পেট ভার হয়ে গেছে। কোষ্ঠকাণ্যের সমস্যা আপনি একটা কমলা একটা কমলা খেতে পারে।

দ্বিতীয় উপাদান হলো রসুন। রসুন শরীরের জন্য অনে উপকারি

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় : রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম। এসব উপাদান ইমিউনিটি বাড়াতে অবদান রাখে। নিয়মিত রসুন খেলে সর্দি ও ফ্লু দূরে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৪৬ জনের ওপর চালানো এক গবেষণায় যাঁরা প্রতিদিন রসুনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন, তাঁদের ঠান্ডা-সর্দি লাগার হার ৬৩ শতাংশ কম।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে : উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি রোগ, যেটি নিয়ন্ত্রণ না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। রসুন উচ্চ রক্তচাপ খুব দারুণভাবে কমাতে পারে। কাঁচা রসুনের প্রধান রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন, যা রক্তনালিগুলো শিথিল করতে ও রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় : কাঁচা রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে পারে। এটি টোটাল কোলেস্টেরল ও এলডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলা হয়) কমাতে সাহায্য করে এবং সম্ভাব্যভাবে এইচডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বলা হয়) বাড়িয় দেয়।

 অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে : রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। রসুনে থাকা অ্যালিসিন বিভিন্ন রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা দেয়। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অসুস্থতার তীব্রতা কমিয়ে দেয়। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই কার্যকর। রসুন সালমোনেলা এবং ই. কোলাইয়ের মতো খাদ্যজনিত রোগজীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

 বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে : রসুনের সালফার যৌগ শরীরকে টক্সিন (বিষাক্ত বর্জ্য) এবং ভারী ধাতু দূর করতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা সিসার মাত্রাও কমাতে পারে রসুন। এর ডিটক্সিফাইংয়ের প্রভাবে গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বাড়ে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা যকৃৎকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে।

শহীদ

×