ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

খাবারের সাথে মিশে থাকা নিরব ঘাতক টেস্টিং সল্ট!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

খাবারের সাথে মিশে থাকা নিরব ঘাতক টেস্টিং সল্ট!

টেস্টিং সল্ট

নিরব ঘাতকের মতো নিরব এক নাম টেস্টিং সল্ট। যা কোন পুষ্টিগুণতো নেই। বরং যা আছে তার পুরোটাই মারাত্বক ক্ষতিকর। অথচ খাবারের স্বাদ বাড়াতে রেঁস্তরা থেকে বাসাবাড়িতে যেখানে বলেন না কেন! নীরব এই বিষ তুমুল জনপ্রিয়। মানুষ জেনে না জেনে প্রতিনিয়ত খাচ্ছে এই নীরব বিষ টেস্টিং সল্ট। আর উপকরণটিকে বিপদের সময় ভাবছি খাবারে স্বাদ বাড়ানোর সবচয়ে কার্যকরি বন্ধু।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত টেস্টিং সল্ট খেলে কিডনি বিকলসহ দেখা দিতে পারে জটিল সব রোগ।  

টেস্টিং সল্ট দীর্ঘদিন ব্যবহারে শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন বৃদ্ধি। যেহেতু টেস্টিং সল্ট সাধারণ লবণের চেয়ে মজা বেশি, সে কারণে এটা পরিমাণে বেশি যাচ্ছে শরীরে। ফলে ওজন বেড়ে যায়। কারণ লবণ কোষগুলোতে পানি জমিয়ে দেয়।

টেস্টিং সল্ট লিভারে (যকৃৎ বা কলিজা) চর্বি জমা করা রাখতে ভূমিকা রাখে, হাড় দুর্বল বা ক্ষয় করে থাকে, খাবারে অরুচি জন্মায়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, মাথা ব্যথা বাড়ে, মাংসপেশিতে ব্যথা, হাত এবং পায়ে ঝিমঝিম বা অবশ লাগে, হার্ট বিট দ্রুত হয়, মেধা বিকাশে বিঘ্ন ঘটতে পারে বা স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট টমেটো ও পনিরে প্রাকৃতিকভাবেই থাকে। তাই খাবারে টেস্টিং সল্টের পরিবর্তে টমেটো ব্যবহার করলে পুষ্টিও পাওয়া যায় এবং খাবারের স্বাদও বাড়ে।

মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট তৈরি হয় যেভাবে

সামুদ্রিক সবুজ শৈবাল সিওয়েড বা মেরিন অ্যালগি পুড়িয়ে স্ফটিকাকারে টেস্টিং সল্ট তৈরি করা যায়। এছাড়া স্টার্চ, মিষ্টি বিট, আখ অথবা গুড় গাজন প্রক্রিয়ায় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট তৈরি করা হয়। দই বা সিরকা যেভাবে গাজন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা যায় ঠিক একই রকমভাবে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট তৈরি করা যায়।

শহীদ

×