বর্তমান সমাজে পরকীয়া একটি জটিল সামাজিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে দেখা যায়। এর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজ পর্যন্ত বিস্তৃত। নিচে এর প্রধান পরিণতিগুলো উল্লেখ করা হলো:
পারিবারিক ভাঙন: পরকীয়ার কারণে সংসারে অশান্তি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মানসিক সংকট: পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিরা মানসিক দোটানায় ভুগতে পারেন। এতে হতাশা, অপরাধবোধ এবং আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
সন্তানের উপর নেতিবাচক প্রভাব: পরিবার ভেঙে গেলে সন্তানের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
সামাজিক সম্মানহানি: সমাজে পরকীয়ার বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
আইনগত জটিলতা: বিভিন্ন দেশে পরকীয়াকে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কখনো কখনো সম্পত্তি বা সন্তানের হেফাজতের ক্ষেত্রে এটি প্রভাব ফেলতে পারে।
শারীরিক স্বাস্থ্যঝুঁকি: পরকীয়ার ক্ষেত্রে অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের ঝুঁকি থাকে, যা বিভিন্ন যৌনরোগের কারণ হতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে প্রভাব: পরকীয়ার কারণে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, যা কর্মক্ষেত্রে মনোযোগ ও পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে পরকীয়া: ইসলাম ধর্মে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক কঠোরভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনের সূরা আন-নূরে আল্লাহ বলেন: "আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেও না; এটি অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ।" (সূরা আল-ইসরা: ৩২)
রাজু
