প্রতীকী চিত্র
বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক অনেক সময় পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে এই সম্পর্ক হতে পারে ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মানের জায়গা।
১. পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা
শাশুড়ি ও পুত্রবধূ উভয়েই যদি একে অপরকে সম্মান দেন, তবে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
২. খোলামেলা আলোচনা করা
অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব তৈরি হয়। তাই দু’জনেরই উচিত সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা।
৩. পারস্পরিক সহযোগিতা
শাশুড়ি ও বউ যদি একে অপরের দায়িত্ব বোঝেন এবং একসঙ্গে কাজ করেন, তাহলে সম্পর্ক আরও সুগঠিত হবে।
৪. শাশুড়ির উচিত বউকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করা
যদি শাশুড়ি বউকে নিজের মেয়ের মতো ভাবেন, তবে সম্পর্ক সহজ ও সুন্দর হবে।
৫. স্বামীর উচিত ভারসাম্য রক্ষা করা
অনেক সময় স্বামী মাঝখানে পড়ে যান। তাই তার উচিত মা ও স্ত্রীর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং কোনো পক্ষপাত না করা।
৬. একে অপরের ব্যক্তিগত সময় ও পরিসরকে সম্মান করা
অন্যের ব্যক্তিগত জীবন ও সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।
৭. ইতিবাচক মানসিকতা রাখা
নেতিবাচক চিন্তা বা গুজবের কারণে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, তাই সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৮. ভালো মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়া
একসঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা, একে অপরকে ছোটখাটো উপহার দেওয়া বা একসঙ্গে রান্না করার মতো কাজ সম্পর্ক আরও গভীর করতে সাহায্য করে।
বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক ভালো রাখতে উভয়েরই দায়িত্বশীল আচরণ করা জরুরি। সম্মান, ভালোবাসা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে সম্পর্ক সুন্দর ও মধুর হয়ে উঠবে।
জাফরান
