ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

বিরিয়ানি খেয়েও ওজন কমানোর সহজ কৌশল!

প্রকাশিত: ১০:১২, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৫:৪৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

বিরিয়ানি খেয়েও ওজন কমানোর সহজ কৌশল!

ওজন কমানোর তাগিদে অনেকেই বিরিয়ানি খাওয়া পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেন। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরিয়ানিকে সঠিক উপায়ে খেলে ওজন কমানোর পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। এ খবরটি শুনে অবাক হচ্ছেন তো? আসলেই, বিরিয়ানি বাদ না দিয়েও আপনি সুস্থভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, যদি কিছু পরিবর্তন এবং সতর্কতা অবলম্বন করেন।আজকে আমরা জানবো কীভাবে বিরিয়ানি খাওয়ার অভ্যেস বজায় রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
বিরিয়ানি খাওয়ার সময় প্লেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। ছোট প্লেট ব্যবহার করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। এতে আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করবেন এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমাবে। এক প্লেট বিরিয়ানি খাওয়ার পরিবর্তে, অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।


রান্নার তেল কমানো
বিরিয়ানির মধ্যে তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিলে তার ক্যালোরি অনেকটাই কমে যায়। রান্নায় তেল কম ব্যবহার করুন, বিশেষ করে অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যকর হবে। তেলের পরিবর্তে আপনি পনির, টক দই, বা কাশ্মীরি কাঁচামরিচের মতো উপকরণও ব্যবহার করতে পারেন, যা আরও কম ক্যালোরি যুক্ত করবে এবং স্বাদও বজায় রাখবে।


দ্রুত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম
বিরিয়ানি খাওয়ার পর অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন বা হালকা ব্যায়াম করুন। এটি খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, গ্যাস এবং অতিরিক্ত ফ্যাট বের করে দেবে। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা বজায় থাকবে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। আপনি কিছু সহজ এক্সারসাইজও করতে পারেন, যেমন:

স্কোয়াট: এটি আপনার পা ও নিতম্ব শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং শরীরের ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে।

পুশ-আপ: পেট, হাত এবং বুকে শক্তি যোগাবে।

প্লাঙ্ক: এটি মূল পেশি শক্তিশালী করবে এবং কোর স্টেবিলিটি বজায় রাখবে।

 

পর্যাপ্ত পানি পান
বিরিয়ানি খাওয়ার আগে এবং পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি খাবারের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করবে এবং হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করবে। এটি আপনার পেটের সমস্যা দূর করবে এবং শরীরের টক্সিন বের হতে সাহায্য করবে।

তাজা ফল ও সালাদ
বিরিয়ানি খাওয়ার পর তাজা ফল বা সালাদ খান। এসব শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতে বাধা দেবে। ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং ফাইবার আপনার পেটকে পূর্ণ রাখবে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।

ইসবগুলের ব্যবহার
নিয়মিত ইসবগুল খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের শর্করা শোষণের ক্ষমতা কমে যায়। ইসবগুলে থাকা ফাইবার শরীরের গ্লুকোজ শোষণ কমিয়ে দেয়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এটি নিয়মিত খেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় থাকে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাহায্য করে।


বিরিয়ানি খাওয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা বজায় রেখেই আপনি সুস্থভাবে ওজন কমাতে পারেন। সঠিক উপকরণ, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে বিরিয়ানি খাওয়ার স্বাদ উপভোগ করে আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারবেন। খাবারের প্রতি ভালোবাসা হারানো নয়, বরং সঠিকভাবে খাওয়ার মাধ্যমে সুস্থ ও ফিট থাকা সম্ভব।

সূত্র:https://tinyurl.com/3mh497ja  

 

আফরোজা

×