পেঁয়ারা পাতা
প্রকৃতিতেই রয়েছে যত ঔষধি যতগুণ। যদি কোন মানুষ তার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে চান। তাহলে সপ্তাহে ৭ দিন ৩ সপ্তাহ টানা পেঁয়ারা পাতা খাওয়া শুরু করুণ। পেঁয়ারা পাতাতেই রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের চাবিকাঠি। মাঝারি আকৃতির পাতা নিতে হবে ৮-১০টি। সাথে নিতে হবে দেড় লিটার পানি। এবার এই পাতাগুলো হালকাভাবে গরম পানিতে ফুটাতে হবে। পানি বাস্প হয়ে যখন তিনভাগ শুকিয়ে একভাগ হবে। তখন এটাকে ছেকে পান করতে হবে।
উপকারিতা
এই পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাগমাইট, পলিফেনল এবং ক্যারট্রোনাইট। যা আপনার দেহকে সুস্থ করে তুলবে। শুধু তাই নয়। আপনি যখন পেঁয়ারা পাতা সেবন করবেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে। তাহলে সেই সুগারকে শোষণ করে নেবে পেঁয়ারা পাতা। অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল চলে যাবে। অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তে তৈরি হবে উপকারি ব্যাকটেরিয়া।
যে ব্যাকটেরিয়া আপনার পাচনরসকে বাড়িয়ে দেবে। যার ফলে ভালোভাবে খাবার হজম হবে। যাদের খাবার হজম হয় না। সব সময় একটা অস্বস্তি থাকে বা খাওয়ার সময় এনার্জি পাওয়া যায় না। সেই খাবার আপনার শরীরে কাজে লাগে না। সুতরাং আপনি যদি পেঁয়ারা পাতা টানা ২১ দিন খেতে পারেন। তাহলে সব থেকে দীর্ঘমেয়াদি উপকার পাওয়া যেতে পারে।
শরীরের ভেতরে যে ক্ষতিকর টক্সিন জমা হয়। সেই ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আর প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ত্বকের ভিতরে যে এলার্জিক উপাদানগুলো রয়েছে যার ফলে এলার্জি দুর হবে।
যাদের ত্বকে এলার্জি আছে এবং ত্বকে রেস উঠে তারা কিন্তু পেয়ারা পাতা খেতে পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের মধ্যে হাঁচি, কাশি-সর্দি থাকে তারা নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেতে পারেন।
আবার পেঁয়ারা গাছের কঁচি পাতাগুলো সকালে খালি পেটে চিবিয়েও খাওয়া যেতে পারে। যারা সেদ্ধ করে খেতে পারবেন না। তারা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে দাঁত ও মাড়ি শক্ত হবে। চুল সুন্দর হবে।
শহীদ