ছবি: প্রতীকী
সাত সময়ে নীরব থাকা আবশ্যক। মানুষের কথা বলার ক্ষমতা একটি অসাধারণ গুণ। কিন্তু কখনো কখনো নীরবতায় হয়ে ওঠে শ্রেষ্ঠ পন্থা। জীবনের পরিস্থিতি এমন হয়। যেখানে কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা বেশি কার্যকর এবং সঠিক। নীরবতা এটি কেবল অন্যকে আঘাত এড়ানোর উপায় নয়। এটি অনেক সমস্যার সমাধানও বটে। এমন পরিস্থিতি নীরব থাকুন।
১. ঘটনা সম্পর্কে না জানা: কোন বিষয় মন্তব্য করার আগে পুরো ঘটনা সম্পর্কে না জেনে নিরব থাকুন। পুরো তথ্য বা অসম্পূর্ণ জ্ঞান নিয়ে যেমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি ভুল বোঝাবুঝি হয়। অপরিপক্ক মন্তব্য যেমন একজনের সম্মান হানি ঘটাতে পারে। তেমনি পরিস্থিতি আরোও জটিল করে তুলতে পারে। তাই পুরো ঘটনা না জেনে মন্তব্য না করাই শ্রেয়।
২. অতিরিক্ত আবেগ প্রবণ অবস্থায় নিরব থাকুন: মানুষের আবেগ তার শক্তি হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু বলা প্রায়ই ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারে। এমন অবস্থা কোন সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য করা নিজের বা অন্যর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যখন আপনি খুব আবেগ প্রবণ থাকেন। তখন নিজের কথা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা ও নিজেকে সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. রাগের উত্তাপে কথা বলার আগে নিরব থাকুন: রাগ আমন একটি আবেগ যা মানুষকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে। রাগের মাথায় কথা বলা পেশাগত জীবনে, বন্ধুত্ব, সম্পর্কে ফাটল ধরতে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাগের সময় মুখ থেকে বের হওয়া কিছু কথা মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। যা কখেনো মুছে ফেলা যায় না। তাই রাগের মাথায় নিজেকে সংযত রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. আপনার কথায় যদি কাউকে আঘাত করে, তবে নিরব থাকুন: কথা মানুষের মন জয় করার পাশাপাশি তার হৃদয়ে আঘাত করতে পারে। কখনো কখনো সত্য বলাও এমনভাবে উপস্থাপিত হয়। যা অন্যর মনে কষ্ট দেয়। আপনি বুঝতে পারেন যে, আপনার কথা কারো সম্মানে আঘাত করবে। তবে, সে সময় নিরব থাকাই উত্তম।
৫. আপনার কথা যদি একটি বন্ধুত্ব নষ্ট করতে পারে, তবে নীরব থাকুন: বন্ধত্ব একটি অমূল্য সম্পদ যা ভুল বুঝাবুঝির মাধ্যমে নষ্ট হতে পারে। এমন অনেক কথা আছে যে, অনেক সঠিক কথাও ভূল পরিস্থিতিতে বলাও সম্পর্কের ফাটল ধরে। সুতরাং আপনার কোন কথা যদি বন্ধুত্ব নষ্ট করার পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে কথা না বলে নীরব থাকুন।
৬. যখন চিৎকার না করে কথা বলতে পারেন না, তখন নীরব থাকুন: চিৎকার বা উচ্চস্বরে কথা বলার অভ্যাস প্রায়সই সমস্যাকে আরোও বড় করে তোলে। উত্তেজিত অবস্থায় বলা কথা কখনো সঠিকভাবে বোঝানো যায় না এবং এর ফলে সম্পর্কের মধ্যে দুরত্বের সৃষ্টি করে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনি শান্তভাবে কথা বলতে পারবেন না। তাহলে সময় নিয়ে কথা বলুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন।
৭. নীরবতা যদি একটি সম্পর্ক বা বন্ধন রক্ষা করতে পারে, তবে নীরব থাকুন: কখনো কখনো নীরবতা একটি সম্পর্ককে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হয়ে উঠে। তর্ক বা বিতর্ক পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে নীরব থাকা সম্পর্কের উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে। তাহলে নীরব থাকুন। নীরবতা কখনো কখনো ক্ষমার চেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে।
শহীদ