ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

চুলের যত্ন কিভাবে করবেন? 

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

চুলের যত্ন কিভাবে করবেন? 

চুল

চুল শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। চুলের কোয়ালিটি দেখলে বোঝা যায় আপনি কেমন আছেন। চুল কিন্তু রিফ্লেক্ট করে অর্থাৎ আপনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন কি না? তা কিন্তু চুল দেখলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। চুলের উজ্জলতা কেমন আমাদের শরীরে যখন বিভিন্ন ধরনের অসুস্থ হই অথবা আমরা যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকি। তখন চুল নষ্ট হয়ে যায় এবং রাফ হয়ে যায় যা দেখলে বোঝা যায় যে আপনি শারীরিকভাবে কতটা ভালো আছেন।

চুলের যত্ন করতে গিয়ে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যে, চুলের কোয়ালিটির দিকে। একেক জনের চুলের কোয়ালিটি একক রকম। কারো চুল শুস্ক আবার কারো চুল তৈলাক্ত এবং কারোরটা মিশ্রত।

আপনার চুলের ধরণ কি রকম। তার উপর নির্ভর করে আপনাকে হেয়ার কেয়ার করতে হবে। 

প্রতিদিন চুলের যত্নে আমরা যে কাজগুলো করতে পারি তা হচ্ছে নিয়মিত চুল আচড়াতে হবে। আমাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস থাকে যে আমরা চুল আচড়াতে চাই না। বিশেষ করে আমরা যারা বাহিরে কাজ করি। দেখা যায় যে, অফিসে যাবার সময় একবার ভালো করে আচড়ালাম। আবার অফিস থেকে ফিরে আর একবার আচড়ালাম। কিন্তু দিনে কমপক্ষে ৩-৪বার আচড়াতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের যাদের লম্বা চুল। তারা একটু চেষ্টা করবেন মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়াতে এবং খুব ভালো করে সময় নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আচড়াতে হবে। এভাবে করলে চুল পড়া বন্ধ করবে।


প্রতিদিন চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। হাতের আঙ্গুল দিয়ে ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। এই ম্যাসাজটা আমাদের মাথার যে রক্তনালীগুলো আছে সেগুলোর প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। যা আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে।


চুলের স্টাইল ঠিক রাখতে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে খুব টাইল করে চুল না বাঁধতে। অনেকেই এ কাজটি করে থাকেন।এটা কিন্তু  ১-২ দিন করতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত করা যাবে না। যদি করা হয় তাহলে চুলের ক্ষতি হবে। আবার অনেকেই আছেন। যারা নিয়মিত একটি কাজ করে থাকেন। যেমন চুলের মধ্যে হিট দিয়ে থাকেন। যা চুলের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজেই প্রতিদিন এটা করা যাবে না।

আমরা যখন বাইরে যাই। তখন কিন্তু স্কিনকে সেভ করার জন্য সান প্রটেকশন ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি চুল রক্ষা করার জন্য আমাদের অবশ্যই মাথায় ঢেকে নিয়ে বের হতে হবে। বাইরে যখন অনেক রোদ থাকে। তখন কিন্তু এই রোদে এই আল্ট্রাবায়োলেট করা থাকে। 

চুলের যত্নে আরেকটা বিষয় হলো খাওয়া। আপনি কি খাচ্ছেন। তার উপর কিন্তু নির্ভর করে চুলের অবস্থা। আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার খাবারে যেন প্রোটিন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দৈনিক সঠিক পরিমাণ পানি পান না করলে শরীরের অন্যান্য দিকে যেমন প্রভাব পড়ে। ঠিক তেমনি চুলেও এর ব্যতিক্রম না। দৈনিক ৭-৮ গ্লাস পানি আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে। যা চুলকে শুস্ক হয়ে যাওয়া থেকে মুক্ত করবে।

ঘুম শরীরের জন্য একটা জরুরী বিষয়। কারণ সুস্থ থাকতে দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে।  ভালো ঘুম না হলে চুলের ক্ষতিকর দিকটা ফুটে উঠবে। আরেকটা বিষয় হলো আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন। তখন অবশ্যই ভালো করে চুল আচড়াতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের যাদের লম্বা চুল। তাদের অবশ্যই আলতু করে চুল বেঁধে ঘুমাতে হবে।

এগুলো হলো প্রতিদিনের রুটিন। সাপ্তাহিক কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো আমাদের করতে হবে। তাহলো- পানিতে নারিকেল তেল দিয়ে হালকা গরম পানি তাওয়াল ভিজিয়ে তা পানি থেকে তুলে চিপে মাথায় দিয়ে রাখতে হবে। এটা কিছুর রাখতে হবে। এই যে বাস্পটা মাথায় গেল এটাও কিন্তু শরীরের জন্য উপকারি। 
 

শহীদ

×