ছবিঃ সংগৃহীত
প্রি-ডায়াবেটিস এমন এক অবস্থা, যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তবে তা ডায়াবেটিসের স্তরে পৌঁছায় না। সময়মতো প্রতিরোধ না করলে এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি স্ট্রোকের মতো জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রি-ডায়াবেটিসে অনেক সময় সুস্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ লক্ষ্য করা যেতে পারে:
১. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: স্বাভাবিক কাজেও অতিরিক্ত অবসাদ।
২. অতিরিক্ত তৃষ্ণা: পানি পিপাসা বেড়ে যায়।
৩. প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি: বিশেষত রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব।
৪. ত্বকের পরিবর্তন: ঘাড় বা বগলে ত্বক পুরু ও কালো হতে পারে (Acanthosis Nigricans)।
৫. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া: হঠাৎ অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করা।
৬. ওজনের পরিবর্তন: কোনো কারণ ছাড়াই ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
কিছু কারণ প্রি-ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ায়:
১. পরিবারের কারও ডায়াবেটিস থাকলে।
২. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা।
৩. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।
৪. উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের সমস্যা।
৫. ৪৫ বছরের বেশি বয়স।
৬. গর্ভাবস্থায় গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস থাকলে।
প্রতিরোধের উপায়: সময়মতো ব্যবস্থা নিন
প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব, তবে সচেতন পদক্ষেপ নিতে হবে:
১. সুষম খাদ্যাভ্যাস: শর্করা নিয়ন্ত্রণে রেখে সবজি, ফল, ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
২. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
৪. ধূমপান ও মদ্যপান এড়ানো।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও ঝুঁকিগুলো সময়মতো চিহ্নিত করা গেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এর মূল চাবিকাঠি।
জাফরান