সংগৃহীত ছবি
সুস্বাস্থ্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন সম্পদ এই পৃথিবীতে নেই। রাসুল (সা.) এর বেশ কিছু অভ্যাস নিয়ে এ যাবৎকালে অনেক গবেষণা হয়েছে। মুসলিম বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান বিজ্ঞানীরা ও একমত হয়েছেন যে পৃথিবীর বুকে একমাত্র রাসুল (সা.) অভ্যাসগুলোই পারে একজন মানুষকে আজীবনের জন্য সুস্থ রাখতে। এই আলোচনায় বিজ্ঞান এবং চিকিৎসাশাস্ত্র দ্বারা প্রমাণিত রাসুল (সা.) এর সাতটি অভ্যাস নিয়ে কথা বলা হবে।
১. সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া: রাসুল (সা.) তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জাগতেন এবং দিনের কাজ শুরু করতেন। আজ বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে সকাল সকাল জাগ্রত হওয়া মানুষের মধ্যে প্রোডাক্টিভিটি বেশি থাকে। এবং সেই সাথে যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাদের হতাশাগ্রস্ত কিংবা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সেভেন হেবিট অফ হাইলি ইফেক্টিভ পিপল গ্রন্থে একজন খ্রিস্টান বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, পৃথিবীর সকল সফল এবং সাকসেসফুল মানুষদের একটি কমন অভ্যাস ছিল। তারা সকলেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেন।
২. স্বল্প আহার গ্রহণ করা: রাসুল (সা.) রোগ ও অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য কম খেতেন। বহু বছর পর বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, অল্প আহার গ্রহণ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় বর্তমান বিজ্ঞান বলছে শরীরের ৭৫ ভাগ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব শুধুমাত্র পরিমিত আহারের অভ্যাস গড়ে তোলে।
৩. ধীরে ধীরে খাদ্য গ্রহণ: বিজ্ঞান বলছে রাসুল (সা.) এর এই অভ্যাসটি জগত বিখ্যাত। খাওয়ার পরে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানোর জন্য অন্তত ৩০ মিনিট সময় লাগে। যে সংকেত আমাদের বুঝতে দেয় যে, আমাদের পেট পরিপূর্ণ হয়েছে কি না। অনেক সময় রমজান মাসে অনেক বেশি খেয়ে ফেলার পরেও মনে হয় আরো খাওয়া উচিত। কিন্তু খাওয়া শেষে ৩০ মিনিট পর মনে হয় শেষের খাবার গুলো খাওয়া উচিত হয়নি। এর কারণ মস্তিষ্কে আসতে ৩০ মিনিট লেগেছে এবং মধ্যবর্তী সময় আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। তাই রাসুল (সা.) বলেছেন আস্তে আস্তে খাও। যাতে সংকেতটা ব্রেইনে যাওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারো এবং তুমি যাতে বেশি না খেয়ে ফেলো।
৪. পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়া: এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খাবার খাওয়া উৎসাহিত করেছেন। বিজ্ঞান বলছে, পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেলে মানসিক চাপ কমে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৫. তিন শ্বাসে পানি পান করা: রাসুল (সা.) সবসময় ৩ শ্বাসে পানি পান করতেন। এটা একটি শ্রেষ্ঠ সুন্নত। বিজ্ঞান দাবি করছে একসাথে যদি সব পানি গড়গড় করে খেয়ে ফেলেন তাহলে রক্তের ইলেকট্রোলাইট গুলো মাথা ব্যাথার সৃষ্টি করতে পারে। ধীরে ধীরে এটি মানসিক ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করতে পারে।
৬. নামাজ আদায় করা: এটি শারীরিক ব্যায়াম। বিজ্ঞান আমাদের হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নামাজের গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছে। নামাজ শারীরিক এবং মানসিক বিন্যাসের মাধ্যম। এটি আত্মার যেমন খাদ্য তেমনি শরীরকেও ঠিক রাখে।
৭. রোজা: রাসুল (সা.) মুসলমানদের রমজানে রোজা রাখতে বলেছেন এবং তিনি প্রতি সপ্তাহে নফল রোজাও রাখতেন। বর্তমানে জাপানী বিজ্ঞানীরা রমজান মাসে রোজার ঘোষণা করেছে এবং তারা বলছে, রোজা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং এটি শরীরের ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রাসুল (সা.) এর এই অভ্যাসগুলো জাপানের অনেক বিধর্মীরাও পালন করছে। যদিও তারা ইসলাম ধর্ম পালন করে না, নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য তারা রমজান মাসে রোজা রাখছে।
JF