ছবিঃ সংগৃহীত
সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুধু রান্নায় নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। নিচে সরিষার তেল মাখার ১০টি উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর হয় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
২. প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন: অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগালে সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৩. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ: সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের অ্যালার্জি ও র্যাশ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রোধ: সরিষার তেল ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি কমাতে কার্যকর। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৫. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল নিয়ে ত্বকে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, যা ত্বককে অক্সিজেন ও পুষ্টি জোগায়।
৬. পেশির ব্যথা উপশম: শরীরে সরিষার তেল মালিশ করলে পেশির চাপ কমে এবং ব্যথা উপশম হয়।
৭. চুলের বৃদ্ধি ও পাকা রোধ: সরিষার তেলে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করলে চুল কালো হয় এবং পাকা রোধ হয়।
৮. খুশকি প্রতিরোধ: শীতে নিয়মিত চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে খুশকি, তালুর সমস্যা ও চুল পড়া রোধ করা সহজ হয়।
৯. ঠোঁটের শুষ্কতা দূর: প্রতি রাতে ঠোঁটে কয়েক ফোঁটা সরিষা তেল লাগালে সকালে ঠোঁট কোমল ও মসৃণ থাকে।
১০. শীতকালে ঠান্ডা প্রতিরোধ: শীতে সরিষার তেল মালিশ করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ঠান্ডা কম লাগে।
তবে, সরিষার তেল ব্যবহারের আগে ত্বকের একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নিন, কোনো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া হয় কিনা। সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করলে সরিষার তেল আপনার ত্বক ও চুলের যত্নে অসাধারণ ফলাফল দিতে পারে।
জাফরান