ছবি: সংগৃহীত
শীত কিংবা রোদ, যে কোনো আবহাওয়াতেই খুশকি মাথার ত্বকের জন্য একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা। এটি শুধু মাথার ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কতা সৃষ্টি করে না, বরং চুলের সৌন্দর্যও কমিয়ে দেয়। যদিও বাজারে অনেক রাসায়নিক পণ্য পাওয়া যায়, তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই খুশকি দূর করা সম্ভব। আসুন, খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানি।
লেবুর রস
লেবুর প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান খুশকির বিরুদ্ধে কার্যকর।
ব্যবহার:
একটি লেবুর রস নিয়ে মাথার ত্বকে আলতোভাবে মালিশ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করলে খুশকি দূর হবে।
নারকেল তেল ও লেবুর রসের মিশ্রণ
নারকেল তেল মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে এবং লেবুর রস ফাঙ্গাস দূর করে।
ব্যবহার:
দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলের সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
টক দই
টক দই মাথার ত্বকের খুশকি কমাতে দারুণ কার্যকর।
ব্যবহার:
এক কাপ টক দই মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করে।
ব্যবহার:
অ্যালোভেরা পাতা থেকে তাজা জেল বের করে সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান।
ব্যবহার:
দুই থেকে তিন ফোঁটা টি ট্রি অয়েল আপনার শ্যাম্পুতে মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি নিয়মিত করলে খুশকি কমবে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং খুশকি কমায়।
ব্যবহার:
এক চা চামচ বেকিং সোডা সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মাথার ত্বকে আলতোভাবে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
কিছু পরামর্শ
-
চুল সবসময় পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন।
-
অতিরিক্ত রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
-
মাথার ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্য ধরে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো খুশকির পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে।
তাবিব