বিবাহ
একজন ছেলে বা মেয়ে যখন বিয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত হচ্ছেন। তখন এই বিয়েটা নিয়ে জানবেন কোথায় থেকে। কমন একটা বিষয় থাকে যে, বন্ধুরা বলেছে। চাচিরা বলেছে। মামা বলেছে। অথবা অনেক সময় আমরা গুগুল থেকে জেনে থাকি। আসলে কি বিষয়টা তাই?
গুগুল বা স্যোসাল মিডিয়াতে অনেক ভুল তথ্য থাকে। আমরা আমাদের আত্মীয় পরিচিত জনদের কাছ থেকে যে বিষয়গুলো শিখি সেটা কি? উনারা শোনা কথা থেকে বলছেন? নাকি তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন। এটা নিয়েও আমাদের কোন জ্ঞান নেই। এক ধরণের ভাষা ভাষা জ্ঞান নিয়ে নেই। আরেকটি বিপদজ্জক বিষয় হলো পর্ণগ্রাফি দেখেন। ম্যাগাজিন বা পর্ণগ্রাফি কোনটা থেকেই সঠিক জ্ঞান পাওয়া যায় না।
আসলেই আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা জেনে নেওয়া যেতে পারে
* আপনি কি কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন? জীবনে বড় কিছু হওয়াই যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই মুহূর্তে বিয়ে করবেন কিনা তা ভাবা উচিত। কারণ বিয়ের পর নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যাবে। আর সেখানেও কিছু সময় দিতে হবে।
* হবু জীবনসঙ্গীকে নিয়ে আপনি খুশি। তারপরও মাঝেমধ্যেই প্রাক্তনের কথা ভেবে মন খারাপ হলে ভাবতে হবে আবারও।
* অনেক দিন একা থাকার পর নতুন সম্পর্ককে যদি জীবনের শূন্যতা দূর করার উপায় ধরে নেন, তাহলে কিছুটা সময় নেওয়া উচিত। নতুন সম্পর্কে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা বাড়তি সময় নিন।
* সব বন্ধুরা বিয়ে করছে, এই জন্য আপনাকেও গাঁটছড়া বাঁধতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
* সব সময় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করেছেন। তাই হুট করে আরেক জনের সঙ্গে জীবন ভাগ করার চিন্তা যদি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনার আরও কিছু সময় প্রয়োজন।
* যদি দীর্ঘদিনের প্রেমের পরেও নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে তাহলে তা গুছিয়ে নিতে সময় নিন। কারণ বিয়ের জন্য দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকা জরুরি।
* সম্পর্কের সমস্যা ঠিক করার জন্য যদি মনে করেন বিয়েই একমাত্র সমাধান, তাহলে ভুল ভাবছেন। বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বা সঙ্গী বদলে যাবে এমন ধারণা অমুলক।
* একে অপরের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বা সন্দেহ আপনাদের ঝগড়ার মূল কারণ। তাহলে বিয়ে না করাই ভালো। একে অপরের কাছ থেকে কথা লুকিয়ে রাখলেও বিয়ে করার সিন্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসাই ভালো।
* আপনিকি আসলেই আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসেন, নাকি তা মোহ! বিয়ে করার আগে ভেবে দেখুন আরও একবার!
শহীদ