ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, এবং ওয়াইফাই রাউটারের ব্যবহার আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহারে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
ল্যাপটপ ব্যবহারে করণীয়:
১. ল্যাপটপের অবস্থান: কখনোই ল্যাপটপ সরাসরি পায়ে রেখে ব্যবহার করবেন না। একটি টেবিল বা ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
২. স্ক্রিনের উচ্চতা: স্ক্রিন চোখের সমান উচ্চতায় রাখুন, যাতে কাঁধ ও ঘাড়ে চাপ না পড়ে। নিয়মিত বিরতি: একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করবেন না। প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পর ৫ মিনিটের জন্য বিরতি নিন। ব্লু লাইট ফিল্টার: স্ক্রিনের ব্লু লাইট ফিল্টার চালু রাখুন অথবা ব্লু লাইট ব্লকিং চশমা ব্যবহার করুন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে করণীয়:
১. মাথা থেকে দূরে রাখুন: ফোনে কথা বলার সময় ইয়ারফোন বা স্পিকার ব্যবহার করুন।
২. স্ক্রিন টাইম কমানো: দিনে নির্দিষ্ট সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনীয় স্ক্রোলিং এড়িয়ে চলুন।
৩. রাতের ব্যবহার: ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন।
৪. রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষা: ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় কথা বলবেন না এবং বডির খুব কাছে ফোন রাখবেন না।
ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহারে করণীয়:
১. রাউটারের অবস্থান: রাউটার ঘুমানোর ঘর বা বসার কাছাকাছি স্থানে না রেখে এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে আপনি কম সময় থাকেন।
২. রাতের সময় বন্ধ রাখুন: ঘুমানোর সময় রাউটার বন্ধ করে রাখুন।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অত্যধিক ব্যবহার শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ করেছে ঠিকই, তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। ডিভাইস ব্যবহারে নিয়ম মেনে চলুন এবং নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
জাফরান