সংগৃহীত ছবি
বিষন্নতার সাথে লাইফস্টাইল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীবনাচরণের এই চারটি বিষয় ঠিক করতে পারলে বিষন্নতা কমানো সম্ভব।
১. নিয়মিত তিন বেলা খেতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকালের নাস্তা। এটি সারাদিন শরীরকে এনার্জেটিক রাখবে। বাইরের খাবার কম খাওয়া, চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করা। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ সেরাটোনিন তৈরি হয় পেটে। তাই এটিকে দ্বিতীয় ব্রেইন বলা হয়। যাদের শরীরে সেরাটোনিন রেগুলেশন ভালো তাদের মন ভালো থাকে। চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে সেরাটোনিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং বিষন্নতা বেড়ে যায়।
২. প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করা। একেবারে না পারলে দুই মিনিট রুলস ফলো করা। অন্তত দুই মিনিট দৌঁড়ানো, দুই মিনিট হাটা। শুরু করলে অভ্যাস তৈরি হবে। নিউরোসায়েন্টিস্টরা বলছেন, ৫ মিনিট এক্সারসাইজ করলেও শরীরে বিষন্নতার মাত্রা কমে। ব্যায়াম ব্রেইন ফাংশন ইমপ্রুভ করে, মেমোরি বৃদ্ধি করে, স্ট্রোক এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়।
৩. জীবন আচরণে ঘুম ঠিক করা। রাত দশটার মধ্যে ঘুমানো এবং সকাল পাঁচটায় ওঠা। ঘুমের উত্তম সময় মূলত রাত নয়টা থেকে ভোর তিনটা। এ সময় কোয়ালিটি স্লিপ নিশ্চিত হয়। এতে দিনে ভালো কাজ করা যায়। পৃথিবীতে সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই অভ্যাসের চর্চা করতেন।
৪. সকালে কাজ শুরু করা। সকালে ব্রেইন বেস্ট লেভেলে থাকে, মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয়। দিনের বেশিরভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ যদি সকালে করে ফেলা যায় সেটি আপনাকে সারাদিন চাপমুক্ত থাকতে সহায়তা করবে।
JF