ছবি: সংগৃহীত
ডা. মুনমুন জাহান বলেন, একটা মানুষ কখনো কখনো উদাও হয়ে যায়,আবার যখন সে সামনে আসে তখন মনে হয় খুব ভালোবাসে। আবার দুজনের মধ্যে যখন ঝামেলা হয় তখন সে বিষয়ে সে কথা বলতে চায় না, বারবার বলে বাদ দাও। তখন মনে হয় সে আমার অনুভূতিগুলোর কোন গুরুত্ব দেয় না।
এই বিষয়টা মূলত একটা সমস্যার কারনে হয়ে থাকে যাকে বলা হয় ডিসমেসিভ এটাসমেন্ট স্টাইল। ছোটবেলায় একটি শিশু যখন বেড়ে উঠতে থাকে তখন তার বাবা মা তার অনুভূতিগুলোর গুরুত্ব দেয় না। যদি কেউ কান্না করে বা কষ্টের কথা শেয়ার করে তখন বাবা-মা বলে তাদের শোনার সময় নেই তুমি এখন এসব কথা বলতে এসো না। দূরে চলে যাও। বাচ্চাদের শুধু টাকা দিয়ে রাখছে কোন ইমোশনাল নিড ফুলফিল করছে না বরং বাবা মা যখন উল্টো বুলিং করে সে ক্ষেত্রে সে মনে করে ইমোশন প্রকাশ করতে হয় না। ওনারা তো আমাকে টাকাপয়সা দিচ্ছে, অনুভূতিকে এভাবে মূল্য দিতে হয় না। যারা মূল্য দেয় তারা মনে হয় দুর্বল।
সে চায় কেউ তাকে প্রচন্ড ভালোবাসুক আবার সে এটাও মনে করে কারো সামনে অনুভূতি শেয়ার করা যাবে না। কারো সাথে বেশি কানেকশন তৈরী করা যাবে না, কাউকে কষ্টের বা ইমোশনের কথাগুলো বললে সে আবার কষ্ট দিবে। সবাই বুঝে যাবে আমি খুবই দুর্বল এবং ভালোবাসার কাঙ্গাল একটা মানুষ। এই লুকানোর বিষয়টা নিয়ে যখন মানুষ সম্পর্কে জড়ায় তখন প্রথম ভয়টাই থাকে কারো সামনে দূর্বল ভাব প্রকাশ করা যাবে না। যার ফলশ্রুতিতে সম্পর্কে এমন সমস্যা তৈরী হয়।
রাসেল