ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সহকর্মীর টক্সিক আচরণে অবসাদ বাড়ছে?

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সহকর্মীর টক্সিক আচরণে অবসাদ বাড়ছে?

সহকর্মীর ‘টক্সিক’ আচরণ

অনেকের কাছেই কাজের জায়গা হলো সেকেন্ড হোম। সেখানে কাজের চাপ যেমন থাকে, তেমনই থাকে মন হালকা রাখার পরিবেশ। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় কাজের পরিবেশ ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যার নেপথ্যে সহকর্মীরাই। ফলে বাড়ে হতাশা, দুশ্চিন্তা ও অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার ‘টক্সিক’ সহকর্মীর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন? 

১. সহকর্মীর আচরণ বোঝার চেষ্টা করুন: যদি দেখেন আপনার সহকর্মী ভীষণ ভাবে নেতিবাচক। সবসময় হতাশায় ভুগছেন, তাহলে এই ধরনের মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। অপ্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলুন।

২. নিজের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করুন: আপনার স্ট্রেস কমানোর জন্য কিছু টেকনিক মেনে চলতে হবে। যেমন কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন, মন ভালো থাকে, এমন কিছু কাজ করুন। দরকার হলে খানিকক্ষণের জন্য অফিসের বাইরে বেরিয়ে খোলা বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নিন।

৩. আপনার সমস্যাগুলি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন: যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সমাধানে শান্ত মনে খোলাখুলি কথা বলুন। শুধু তাই নয়, আপনার সহকর্মীর সঙ্গে ঠিক যতটুকু কথা বলা দরকার, ততটুকুই বলুন। অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় কথা সমস্যা তৈরি করে।

৪. ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলুন: পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠলে সংস্থার ম্যানেজার কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে একটি টিম মিটিংয়ের ব্যবস্থা করুন।

৫.‘গ্রে রক’ মেথড ব্যবহার করুন: ‘বিষাক্ত’ সহকর্মীকে এড়িয়ে চলার জন্য দায়সারা ভাবে কথা বলে মিটিয়ে দিন। যতটা সম্ভব তাঁকে কম গুরুত্ব দিন।

৬. পজিটিভ মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন: যে সমস্ত সহকর্মী আপনার ভালো চান, ইতিবাচক কথাবার্তা বলেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান।

৭. ঘটনার বিস্তারিত রেকর্ড রাখুন: সহকর্মীর ‘টক্সিক’ আচরণ এবং আপনার পালটা ব্যবহারের মুহূর্তটি রেকর্ড করে রাখুন।

৮. সীমানা তৈরি করুন: হতেই পারে মিটিং চলাকালীন আপনার বক্তব্যের মাঝে সহকর্মী বিনয়ের সঙ্গে কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে সকলের মনোযোগ তাঁর দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে নিজের বক্তব্য শেষ করে তবেই তাঁকে সুযোগ দিন।

৯. নিজেকে গুরুত্ব দিন: নিজেকে কীভাবে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে রেখে পেশাদার জীবনে উন্নতি করা যায়, সেদিকে জোর দিন। এই বিষাক্ত পরিবেশকে সামলানোর অভিজ্ঞতাই পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

এম হাসান

×