ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

পুরুষদের ৮টি বদ অভ্যাস

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

পুরুষদের ৮টি বদ অভ্যাস

ছবি : সংগৃহীত

মানুষের মানসিক গুণাবলী তাদের আচরণের মধ্যেই প্রকাশ পায়। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, পুরুষদের মধ্যে ৮টি  বদ অভ্যাস যা তাদের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।

পুরুষদের ৮টি বদ অভ্যাস আলোচনা করা হলো-

 

১) দায়িত্ব এড়িয়ে চলা

মনোবিজ্ঞানের মতে, দায়িত্ব এড়িয়ে চলা একটি রেড ফ্ল্যাগ। দুর্বল প্রকৃতির পুরুষরা সাধারণত তাদের কাজের জন্য দায়িত্ব নিতে পারেন না। বরং তারা তাদের ব্যর্থতার জন্য অন্যদের বা বাইরের পরিস্থিতিকে দোষারোপ করেন।

এ ধরনের আচরণ মানসিক পরিপক্বতার অভাবের পরিচয় দেয়। গবেষকরা বলছেন, দায়িত্ব নিতে না চাওয়ার পেছনে সমালোচনা বা প্রত্যাখ্যানের ভয় থাকতে পারে। তবে কারণ যাই হোক, এটি স্পষ্টতই  দুর্বল প্রকৃতির  পুরুষদের বৈশিষ্ট্য।

 

২) উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব
উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা অগ্রগতির ইচ্ছার অভাব দুর্বল প্রকৃতির পুরুষদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।

উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা মানে CEO হওয়া নয়, বরং এটি ছোট-বড় লক্ষ্য স্থির করে সেগুলোর প্রতি এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা। ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য লক্ষ্যবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

 

৩) অন্যদের প্রতি অসম্মান

অন্যদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা দুর্বল প্রকৃতির পুরুষদের মধ্যে স্পষ্ট লক্ষণ। এটি সহমর্মিতা এবং মানবিক মূল্যবোধের অভাবকে প্রতিফলিত করে।

অসম্মান বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে—অন্যকে ছোট করে মন্তব্য করা থেকে শুরু করে সরাসরি অশালীন আচরণ পর্যন্ত। এটি কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কেই নয়, পেশাগত ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।

 

৪) শোনার অভাব
যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শোনা। কিন্তু দুর্বল প্রকৃতির পুরুষরা সাধারণত এটি করতে ব্যর্থ হন।

কর্মঠ পুরুষরা মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শোনেন, অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝেন এবং চিন্তাশীলভাবে প্রতিক্রিয়া দেন।

 

৫) আবেগ প্রকাশে অক্ষমতা
অনেকে মনে করেন আবেগ প্রকাশ দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা।

একজন ভালো মানের মানুষ নিজের আবেগ বুঝতে, প্রকাশ করতে এবং তা মেনে নিতে সক্ষম হন। এটি তাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও সফল করে তোলে।

 

৬) নেতিবাচক মনোভাব

নেতিবাচকতা শুধু নিজেকেই নয়, চারপাশের মানুষকেও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দুর্বল প্রকৃতির পুরুষরা জীবনের প্রতিটি বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।

অন্যদিকে, ভালো মানের পুরুষরা ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখেন। তারা জীবনের চ্যালেঞ্জকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখেন।

 

৭) আত্মোন্নতির অভাব

আত্মোন্নতির ইচ্ছার অভাব মনোবিজ্ঞানে নিম্নমানের পুরুষদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

একজন ভালো মানের মানুষ জীবনকে শেখা ও উন্নতির অবিরাম যাত্রা হিসেবে দেখেন। তিনি নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং দক্ষতা উন্নত করতে বিনিয়োগ করেন।

 

৮) অসততা

দুর্বল প্রকৃতির পুরুষদের মধ্যে নিম্নমানের বৈশিষ্ট্যের মূলে থাকে একটি সাধারণ ত্রুটি—অসততা।

সততা হল সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের মূল ভিত্তি। অসৎ পুরুষরা প্রায়ই মিথ্যা বলে বা মানুষকে ঠকায়। এটি কেবল তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই নয়, পেশাগত জীবনকেও প্রভাবিত করে।

সততা মানে শুধু মিথ্যা না বলা নয় বরং এটি কর্ম ও উদ্দেশ্যে স্বচ্ছ থাকা। ভালো মানের একজন মানুষ সততার মূল্য বুঝেন এবং এটি মেনে চলেন।

মনিষা মিম

×