শিশুর খাবার
এক-দুই বছর বয়সী শিশুদের সাধারনত দিনে তিনবার ভারি খাবার ও দুই বার পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তানিয়া ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, ঢাকা। তিনবেলা ভারি খাবার যেভাবে খাওয়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবার বাসায় যে ২৫০ পোয়া এর সমপরিমান বাঁটি থাকে। এর এক বাঁটি করে তিন বেলা তিনবার। এই বাঁটির মধ্যে থাকবে ভাত। তার সাথে থাকবে এক টুকরা মাছ বা মাংস। ঘন ডাল ও সবজি। আমরা বাসায় যে ডাল রান্না করি। সেই ডালের পানির নিচে যে ঘন ডাল থাকে সেখঅন থেকে বাচ্চার জন্য তুলে নিতে পারি। তার সাথে একটু চটকিয়ে নেত পারি। বাচ্চার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে দিয়ে সেই খাবারের বাঁটি সমানে দিব এবং বাচ্চাকে খাওয়াতে উৎসাহিত করবো। এতে করে বাচ্চা নিজেও হাত দিয়েও কিছুটা খেতে উৎসাহিত হবে এবং সাথে সাথে নিজেও তাকে কিছুটা খাইয়ে দিওয়া যেতে পারে।
ডা: তানিয়া ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, ঢাকা।
শিশুকে কী খাওয়ানে উচিৎ নয়?
কিছু খাবার ১-২ বছর বয়সী শিশুকে খাওয়ানো উচিত নয়। লক্ষ্য করুন-
১. ফর্মুলা মিল্ক অবশ্যই রান্না করে খাওয়ানো যাবে না।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলো আয়রন জাতীয় খাবার যেমন আনার বা কাঁচা কলা খাওয়ানো যাবে না।
৩. বাইরের খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
৪. যদি গরুর দুধে এ্যালার্জি না থাকে তবে খাওয়ানো যেতে পারে কিন্তু পাতলা করে।
৫. কৌটাজাত ফুলক্রীম মিল্ক খাওয়ানো যাবে না।
৬. তিন বছর বয়সের আগে আঙ্গুর খাওয়ানো যাবে না।
৭. সে যেহেতু নতুন অনেক খাবারের সাথে পরিচিত হচ্ছে, খেয়াল রাখতে হবে কোনো খাবারে তার পেটে সমস্যা দেখা দেয় কিনা। তেমন হলে সেই খাবারটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে।
৮. এমন কোনো খাবার হাতে দেওয়া যাবে না যেটা খেতে গিয়ে গলায় আটকে যায়। শিশুদের গলায় খাবার আটকে যাওয়াটা ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ।
৯. অতিরিক্ত খাওয়াবেন না।
১০. দিনে বেশী প্রজাতির ফল বা ডিম, দুধ, কলা, মাংস সব একবারে একদিনে খাওয়াবেন না।
১১. যেহেতু নতুন নতুন খাবার খাচ্ছে, পেটে গ্যাস তৈরি হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন। পেটে গ্যাস থাকা অবস্থায় বেশী খাওয়াদাওয়া ক্ষতিকর। আগে গ্যাস নির্মূল করতে হবে।
১২. শিশুর হাতে অবশ্যই পরিষ্কার খাবার তুলে দেবেন। তার আগে তার হাত পরিষ্কার করে নেবেন।
১৩. এ বয়সে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে, তাই খেয়াল রাখতে হবে তারা এমন কিছু খেয়ে ফেলছে কিনা যা তার জন্য ক্ষতিকর। যে খাবারটি তার জন্য ক্ষতিকর সেটা তাকে আড়াল করে খেতে হবে।
১৪. এ বয়সী শিশুর সামনে ওষুধ খেলে অবশ্যই সে ওষুধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
শহীদ