ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

শিশুর হাতে মোবাইল দিয়ে বড় যে ক্ষতি করছেন!

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

শিশুর হাতে মোবাইল দিয়ে বড় যে ক্ষতি করছেন!

সংগৃহীত ছবি

ছোট শিশুদের জন্য অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ক্ষতিকর। প্রায়শই শুনে থাকবেন ডক্টর, সাইকোলজিস্ট বা প্রফেশনালরা বলছে বাচ্চার হাতে ডিভাইস তুলে দেয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুর বিকাশে বাধা তৈরি করে। সারাজীবন যতগুলো ব্রেইন সেল দরকার তা নিয়েই একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। ধীরে ধীরে সেগুলোর মধ্যে কানেকশন তৈরি হয়। শিশুর জন্মের তিন বছর পর্যন্ত ৮০ শতাংশ এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হয়। শিশুর চারপাশে যা কিছু আছে সেগুলোর সাথে ইন্টারেকশন এ ব্রেইন সেলের কানেকশন গড়ে ওঠে। শিশুর প্রাইমারী কেয়ারার, বাবা-মা, পরিবারের সদস্য ও পরিবেশের সাথে যে ইন্টারেকশন  হয় এটার মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত কানেকশন গড়ে উঠছে। শিশু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অঙ্গ দ্বারা যা যা অনুভব করে- দেখা, ঘ্রান নেয়া, স্বাদ গ্রহণ, স্পর্শ করা সবকিছুই তার ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে সহযোগিতা করে। 

শিশু যদি দিনের লম্বা একটা সময় স্ক্রিনে কাটায়, মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে থাকলে পরিবেশের সাথে তার যে কানেকশন তৈরি হতো তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে স্ক্রিনে আটকে যায়, অনুভব ও অনুধাবন করার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। বাস্তবিক যে অভিজ্ঞতা খেলার মাধ্যমে বা কিছু করার মাধ্যমে অর্জন করতো সে সুযোগ থাকছে না। সে দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। তার ডেভেলপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিশুর বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময় ৩-৫ বছর। এই সময়ে শিশুকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখুন। বিশেষ করে দুই বছরের আগে একেবারেই স্ক্রিন না দেয়া। দুবছরের পর দিলেও লিমিটেড সময়- দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট, অবশ্যই লম্বা সময়ের জন্য না।

JF

×