প্রতীকী ছবি
সন্তান প্রসবের পর নারীদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। তবে ধীরে ধীরে সুস্থভাবে ওজন কমানো সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো-
সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ান
বাচ্চাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ালে প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়। এতে ওজন কমে এবং জরায়ুও দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান
ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকা উচিত নয়। বরং ফাইবারযুক্ত খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, ডিম ও দুধ খেতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
হালকা ব্যায়াম শুরু করুন
ডেলিভারির ৬ সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম বা পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ শুরু করা যায়। এতে শরীর সক্রিয় থাকে এবং ওজন কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ান
প্রচুর পানি ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং পেটও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন
নতুন মায়েদের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে ও ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
স্ট্রেস কমান
মুড সুইং বা মানসিক চাপ ওজন কমানোর পথে বাধা হতে পারে। তাই পরিবারের সাপোর্ট নিন, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করুন।
পানি পান ও ডিটক্স পানীয়
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া লেবু ও মধুর ডিটক্স পানীয় ওজন কমাতে সহায়ক।
ধৈর্য ধরুন
ওজন কমানো দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। ধীরে ধীরে ওজন কমানোর দিকে মনোযোগ দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যেকোনো ব্যায়াম বা ডায়েট শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক জীবনযাত্রা ও ধৈর্য ধরলে ডেলিভারির পরেও সুস্থ ও ফিট থাকা সম্ভব।