ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

এই অভ্যাসগুলো থাকলে আপনার বয়স ১০ বছর কম দেখাবে

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

এই অভ্যাসগুলো থাকলে আপনার বয়স ১০ বছর কম দেখাবে

ছবি: সংগৃহীত

শরীর এবং মনের সুস্থতা বজায় রাখতে সঠিক জীবনযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সাধারণ অভ্যাস অনুশীলন করলে আপনার বয়স কম দেখাবে এবং চেহারায় সতেজতা আসবে। 

বিশেষ করে, মানুষ যখন বয়স্ক হয়ে উঠে, তখন ত্বক এবং শারীরিক গঠন কিছুটা পরিবর্তিত হয়। তবে সঠিক অভ্যাস এবং যত্ন নিয়ে আপনি বয়সের প্রভাব কমাতে পারেন।

এই অভ্যাসগুলো আপনাকে সহায়তা করতে পারে:

প্রতিদিন পানি পান করা
পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং তার সৌন্দর্য বজায় থাকে। 

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ফলমূল, শাকসবজি, মাছ ও বাদাম বেশি পরিমাণে খাওয়া ত্বক এবং শরীরকে স্বাস্থ্যবান রাখে। এতে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয় এবং বয়স কম দেখায়।

ব্যায়াম করা
প্রতিদিনের যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম শরীরের পেশী টানটান রাখে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে চর্বি কমে যায়, যা আপনাকে তরুণ ও স্বাস্থ্যবান দেখাতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ঘুমানো
ভালো ঘুম ত্বক এবং শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের মাধ্যমে শরীর স্বাভাবিকভাবে পুনরুদ্ধার এবং মেরামত হয়। নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে ত্বক সতেজ থাকে এবং বয়সের ছাপ কম পড়তে শুরু করে।

স্ট্রেস কমানো
যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমাতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেস থাকার কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে, বিশেষ করে কুঁচকির সমস্যা দেখা দেয়। ধ্যান, মাইন্ডফুলনেস, বা শখের কাজগুলো করে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।

সূর্যের তাপ থেকে বাঁচা
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত সূর্যের তাপ ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। সানস্ক্রীন ব্যবহার করে সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষা করুন এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করুন।

মুখের ত্বক ও শরীরের যত্ন নেওয়া
ত্বকের যত্ন নিতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। ত্বক পরিচ্ছন্ন এবং আর্দ্র থাকলে বয়স কম দেখায়। প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

হাসি এবং ইতিবাচক মনোভাব
ইতিবাচক মনোভাব এবং হাসি মানবিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটায় এবং মনোযোগী হওয়ার মাধ্যমে শরীরের সমস্ত অংশে সুস্থতার বার্তা পাঠায়। হাসি আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির সুস্থতাকেও বাড়িয়ে দেয়। 

এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে আপনি নিজেকে আরো সতেজ অনুভব করবেন, এবং বয়সের ছাপ মুছে যাবে। 

শিলা ইসলাম

×