ছবি: সংগৃহীত।
শিশুদের শোবার অভ্যাস ও তাদের সঠিক ঘুমের পরিবেশ গড়ে তোলার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে অনেক সময় অভিভাবকরা অজান্তেই শিশুকে এমনভাবে শোয়ান, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং উন্নতির জন্য তার ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল শোয়ানোর অভ্যাস শিশুর শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা, কোমর ব্যথা, শারীরিক বিকাশে সমস্যা ইত্যাদি। এই আর্টিকেলে জানানো হবে, কোন কোন ভুল শোয়ানোর অভ্যাস শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং কীভাবে তাদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যায়।
১. অনেক বেশি গদি বা বালিশ ব্যবহার করা
অনেক অভিভাবক শিশুকে অত্যধিক নরম গদি বা বালিশে শোয়ান, যা শিশুর মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত, সদ্যজাত শিশুদের জন্য একেবারে ফ্ল্যাট এবং দৃঢ় গদি ব্যবহার করা উচিত, যাতে তাদের মেরুদণ্ড সঠিকভাবে বিকশিত হয়।
২. পেটের ওপর শোয়ানো
বাচ্চাদের পেটের ওপর শোয়ানো একটি বড় ভুল। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুকে সবসময় পিঠের ওপর শোতে দিতে হবে, যা তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য নিরাপদ এবং কোমরের জন্য আরামদায়ক।
৩. অত্যধিক গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে শোয়ানো
শিশুকে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে শোয়ানোও তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শিশুর ঘরটি যেন যথাযথ তাপমাত্রায় থাকে এবং অতিরিক্ত কম্বল বা গরম কাপড় ব্যবহার না করা হয়, তা নিশ্চিত করা উচিত।
৪. অতিরিক্ত পোশাক পড়ানো
শিশুকে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত পোশাক পরান শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি তাদের ঘামাচি বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই, শিশুকে সাধারণভাবে আরামদায়ক এবং উপযুক্ত পোশাক পরিয়ে শোয়ানো উচিত।
৫. সোফা বা আরামদায়ক জায়গায় না শোয়ানো
অনেকেই শিশুদের সেফটি নিয়ে তেমন সচেতন না হয়ে, তাদের শোয়ার জন্য সোফা বা অস্থির জায়গা বেছে নেন। এটি শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ শিশুদের সহজেই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তারা মারাত্মকভাবে আঘাত পেতে পারে।
শিশুদের শোবার অভ্যাসের প্রতি সঠিক মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সঠিকভাবে শোয়ানোর অভ্যাস শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলে। অভিভাবকদের উচিত শিশুকে সঠিক পদ্ধতিতে শোয়ানোর দিকে সচেতন হওয়া, যেন শিশুর শোবার পরিবেশ নিরাপদ ও আরামদায়ক হয়।
নুসরাত