প্রতীকী ছবি
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সারারাত পড়ালেখা করলেন কিন্তু সকালে পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখলেন কিছুই মনে পরছে না। আবার কারো নাম কি বা নিত্যদিনের খুঁটিনাটি মনে রাখাও বেশ মুশকিল। যাকে সহজ ভাষায় অনেকে 'ভুলে যাওয়ার' রোগ বলে থাকে। মস্তিষ্কের অবদানে আমরা স্মৃতিতে সকল কিছু ধরে রাখতে পারি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মৃতিশক্তির স্থায়িত্ব বাড়ানোর কৌশল-
১. সাংগঠনিক হওয়া শিখুন: আপনার পড়াশোনার নোট এবং উপকরণ গুছিয়ে রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আলাদা করতে স্টিকি নোট, হাইলাইটার বা ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহার করুন। এটি স্মৃতি বাড়াতে সাহায্য করবে।
২. সক্রিয়ভাবে শিখুন: পড়ার সময় সারসংক্ষেপ তৈরি করুন, প্রশ্ন করুন বা অন্যকে পড়ানোর চেষ্টা করুন। এটি বোঝাপড়া উন্নত করে এবং স্মৃতিকে শক্তিশালী করে।
৩. পড়ার সময় বিরতি নিন: পোমোডোরো টেকনিক অনুসরণ করুন ২৫-৩০ মিনিট পড়া, তারপরে ৫ মিনিট বিরতি। ছোট ও ফোকাসড সেশন মনোযোগ ধরে রাখে এবং ক্লান্তি কমায়।
৪. মেমোরি পদ্ধতি ব্যবহার করুন: কঠিন তথ্য মনে রাখার জন্য অ্যাক্রোনিম, ছড়া বা ভিজ্যুয়াল চিত্র তৈরি করুন।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: স্মৃতিকে শক্তিশালী করার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান যাতে আপনার মস্তিষ্ক শেখা বিষয়গুলো প্রক্রিয়া এবং সংরক্ষণ করতে পারে।
৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার খান: ওমেগা-৩ (মাছ), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (বেরি) এবং সম্পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার খান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতার জন্য।
৭. প্রত্যাহারের কৌশল অনুশীলন করুন: নোট বারবার পড়ার বদলে নিজেকে পরীক্ষা করুন। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং দুর্বল বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
৮. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং স্মৃতি উন্নত করে। হালকা শারীরিক কার্যকলাপ, যেমন হাঁটা বা যোগব্যায়াম, মানসিক চাপ কমায় এবং মনোযোগ বাড়ায়।
এম হাসান