লেখার অভ্যাস আত্মপ্রকাশে সহায়তা করে
ছাত্রজীবন ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। এ সময়ে যে বীজ বপন করা হয় সেটি পরে বিকশিত হয়। তাই এ সময় কিছু সুঅভ্যাস আয়ত্ত করা কর্তব্য। যা কর্মজীবনে সফল হতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এ অভ্যাসগুলো ছাত্রজীবনেও সফল হতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো শুধুমাত্র সৃজনশীলতাই বাড়ায় না, বরং তাৎপর্যপূর্ণ একাডেমিক দক্ষতা যেমন বিশ্লেষণক্ষমতা, শৃঙ্খলা এবং ফোকাস তৈরি করে। পাশাপাশি কাজ এবং মজার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১. সৃজনশীল লেখা: গল্প, কবিতা বা ডায়েরি লেখার মাধ্যমে শব্দভাণ্ডার, বিশ্লেষণক্ষমতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হয়। এটি আত্মপ্রকাশে সহায়তা করে এবং প্রবন্ধ বা গবেষণাপত্র লেখায় সুবিধা দেয়।
২. ড্রয়িং ও পেইন্টিং: এটি মনোযোগ, পর্যবেক্ষণ এবং সূক্ষ্মতার প্রতি নজর বাড়ায়। সৃজনশীলতা ও ভিজ্যুয়াল লার্নিং উন্নত করে, যা মনে রাখা এবং জটিল ধারণা বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
৩. বাদ্যযন্ত্র বাজানো: এটি স্মৃতি, শৃঙ্খলা এবং হাত-চোখের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি গণিতের দক্ষতা এবং স্থানিক-সময়গত যুক্তি উন্নত করে।
৪. ফটোগ্রাফি: পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ বাড়ায়। আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, যা সৃজনশীলতা এবং ধৈর্য বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. বাগান করা: মনকে শান্ত রাখে এবং চাপ কমিয়ে ফোকাস বাড়ায়। দায়িত্ববোধ এবং পরিকল্পনা দক্ষতা উন্নত করে, যা সময় ব্যবস্থাপনায় সহায়ক।
৬. রান্না বা বেকিং: সঠিক নির্দেশ অনুসরণ এবং সঠিকতা শেখায়, যা বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাদ এবং পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সৃজনশীলতা বাড়ায়।
৭. প্রকাশ্যে বক্তৃতা বা বিতর্ক: আত্মবিশ্বাস, বক্তব্য দেওয়ার দক্ষতা এবং যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়।
উপস্থাপনা, দলীয় আলোচনা এবং প্ররোচনামূলক লেখায় সাহায্য করে।
৮. কৌশলগত গেম বা ধাঁধা খেলা: দাবা, সুডোকু বা সৃজনশীল সমাধানের খেলা বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তা উন্নত করে। মনোযোগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কৌশলগত পরিকল্পনার দক্ষতা বাড়ায়।
এম হাসান