
ব্রণ
ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা অনেকেরই দেখা যায়। এটি সাধারণত দুশ্চিন্তা, ঘুমের অভাব, ত্বকের অযত্ন, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হতে পারে। শুষ্ক ত্বকের তুলনায় তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকে ব্রণ বেশি দেখা দেয়।
তবে সমস্যা তখনই প্রকট হয়, যখন ব্রণের দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যায়। এতে ত্বক তার লাবণ্য হারায়। তাই ত্বক সুরক্ষিত রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ভেষজ বিশেষজ্ঞ ও ভেষজ পণ্য প্রতিষ্ঠান ‘আমলকী’র প্রধান নির্বাহী নন্দিতা শারমিন ব্রণ দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক সমাধান দিয়েছেন:
- মুলতানি মাটি ও থানকুনি পাতা: মুলতানি মাটির সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে ব্রণের স্থানে লাগান। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- পুদিনা ও তুলসী পাতা: পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে বরফ তৈরি করুন। এরপর ওই বরফ আলতোভাবে ব্রণের ওপর ম্যাসাজ করুন।
- নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করলে ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
ঘরোয়া ফেস প্যাক
- আপেল ও মধু: আপেলের পেস্টের সঙ্গে পাঁচ-ছয় ফোঁটা মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। মধুতে অ্যালার্জি থাকলে এড়িয়ে চলুন।
- ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশ ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রাখুন। প্রয়োজনে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশাতে পারেন।
- পাকা পেঁপে: পেঁপে চটকে এর সঙ্গে লেবুর রস ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
- কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা: কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিমপাতা বেটে ত্বকে লাগান। এতে ত্বকের জীবাণু দূর হবে।
- ঘৃতকুমারী রস: ব্রণের ওপর ঘৃতকুমারীর রস লাগালে প্রদাহ কমে এবং ত্বক শীতল হয়।
ব্রণের দাগ কমানোর উপায়
- লেবুর রস: আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লেবুর রস লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- গোলাপজল: তুলায় গোলাপজল নিয়ে ব্রণের স্থানে লাগান।
- নিমপাতার পানি: নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক পরিষ্কার হয়।
সতর্কতা
- ব্রণে বারবার হাত বা নখ লাগাবেন না।
- পাকা ব্রণ চেপে দূষিত পদার্থ বের করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকুন।
- ব্রণ পেকে গেলে তা নিজে থেকে সেরে উঠবে। তবে পরিষ্কার ও সতর্ক থাকার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন।
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে উপযুক্ত যত্ন এবং প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার ত্বককে লাবণ্যময় রাখবে। তবে জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আর কে