যারা অন্যদের প্রভাবিত করে তারা নানা কৌশল ব্যবহার করে নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ করে। এখানে প্রভাবকদের চেনার ৮টি উপায় উল্লেখ করা হলো, যা থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
১. গ্যাসলাইটিং আচরণ
গ্যাসলাইটিং এমন একটি কৌশল, যেখানে প্রভাবক আপনাকে আপনার উপলব্ধি এবং স্মৃতি নিয়ে সন্দেহ করতে বাধ্য করে। এটি আপনাকে বিভ্রান্ত করে তোলে এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সাহায্য করে। এভাবে তারা নিজেদের ভুল স্বীকার না করেই পরিস্থিতি এড়িয়ে যায়।
২. অতিরিক্ত প্রশংসা
ম্যানিপুলেটররা অতিরিক্ত চাটুকারিতা বা প্রশংসা করে আপনার বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করে। এতে আপনার আত্মরক্ষার ক্ষমতা কমে যায় এবং তারা আপনার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, যা পরে আপনার বিপক্ষে ব্যবহার করে।
৩. ভিকটিম সাজার প্রবণতা
ম্যানিপুলেটররা প্রায়ই নিজেদের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করে। এতে অন্যরা তাদের প্রতি অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করে এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য হয়।
৪. তথ্য গোপন করা
তারা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য তথ্য আংশিকভাবে প্রকাশ করে বা গোপন করে। এর মাধ্যমে তারা পরিস্থিতি নিজের পক্ষে রাখে।
৫. আবেগীয় ব্ল্যাকমেইলিং
ম্যানিপুলেটররা অপরের আবেগকে কাজে লাগিয়ে অপরাধবোধ বা ভয়ের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামতো কাজ করায়।
৬. মিথ্যা বলা বা প্রতারণা
ম্যানিপুলেটররা ছোটখাটো বিষয়েও মিথ্যা বলে বা প্রতারণা করে। এটি তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে বা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সাহায্য করে।
৭. প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ আচরণ
ম্যানিপুলেটররা সরাসরি কথা না বলে সূক্ষ্ম উপায়ে তির্যক মন্তব্য করে বা চুপ থাকার মাধ্যমে অপরকে অপরাধবোধে ফেলে দেয়। এতে তারা পরিস্থিতি এড়িয়ে যায়।
৮. সীমানা লঙ্ঘন এবং দোষারোপ
তারা প্রায়ই অন্যের সীমানা লঙ্ঘন করে দেখে নেয় কতটা দূর পর্যন্ত তারা চ্যালেঞ্জ ছাড়া এগোতে পারে। যখন তাদের আটকানো হয়, তখন তারা দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয় এবং দায় এড়ানোর চেষ্টা করে।
সতর্ক থাকুন এবং এ ধরনের আচরণ চিহ্নিত করে নিজের সীমানা রক্ষা করুন। ম্যানিপুলেটরদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকলেই তাদের কৌশল ব্যর্থ হবে।
রাসেল